কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছিনতাইকারীদের উৎপাতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে পর্যটক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রতিনিয়ত দেশ বিদেশ থেকে ঘরতে আসা পর্যটকদের মোবাইল, ক্যামেরা, লেপটপ ও নগদ টাকা সহ সর্বস্ব ছিনতাই হচ্ছে। তাছাড়া সৈকতে ছিনতাইকারীদের পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে মলম পার্টিও।
সৈকতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ট্যুরিষ্ট পুলিশ ওসব অপরাধীদের আটকে সজাগ থাকলেও তাদের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে ছিনতাইকারীদের হাতে ট্যুরিষ্ট পুলিশের সদস্য খুনের ঘটনা সহ নানা অপরাধ ঘটছেই।
এদিকে শুক্রবার(৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে সৈকতে বেড়াতে আসা এক পর্যটকের মোবাইল ছিনতাইকালে নাবিল নামের এক চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করেন ট্যুরিষ্ট পুলিশের ইনসপেক্টর শাকের আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। পরে ধৃত ছিনতাইকারীকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধের ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনসপেক্টর শাকের। ধৃত ছিনতাইকারী কক্সবাজার শহরের উত্তর রুমালিয়ারছড়া এলাকার আলী হোসেন সওদাগর ও চিহ্নিত দেহ ব্যবসায়ী ডলি আক্তারের ছেলে বলে জানা গেছে।
এভাবে অপরাধ অব্যাহত থাকলে পর্যটকরা কক্সবাজার বিমূখ হয়ে পড়বেন বলে দাবি পর্যটন বিশ্লেষকদের।
সূত্রের দাবি কয়েক বছর পূর্বে ছিনতাইকারীকে আটক করতে গিয়ে শহরের বাহারছড়া গোল চত্বর মাঠ এলাকায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের এক সদস্য ছুরিকাঘাতে নিহত হন, এরপর কয়েকমাস পূর্বে একই স্থানে একইভাবে আরো একজন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এভাবে প্রতিনিয়ত সংঘবদ্ধ অপরাধীদের উৎপাতের ঘটনায় স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে বলে দাবি কক্সবাজার পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালের। তিনি বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে কিশোর বয়সি অপরাধীদের দমালেই পর্যটন নগরী কক্সবাজারের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
পাঠকের মতামত: