কোন কিছু উদযাপনের ক্ষেত্রে কক্সবাজার সিটি কলেজ তাদের সামর্থ আবারো প্রমাণ দিল। বর্ণাঢ্য আয়োজনে কক্সবাজার সিটি কলেজে হয়ে গেল বাংলা নববর্ষ – ১৪২৩ বঙ্গাব্দ উদযাপন। এ উপলক্ষে এক বিশাল বৈশাখি মেলা। র্যালি থেকে শুরু করে বলী খেলা । কি ছিল না তাদের আয়োজনে! জেলার সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে ছাপিয়ে এমন এক বর্ণিল আয়োজন পরিলক্ষিত হয়েছে দিনব্যাপী এ মেলায় ।
সকাল ৯টায় অধ্যক্ষ ক্যথিং অং এর নেতৃত্বে শুরু হয় এক বর্ণাঢ্য র্যালি । নানা রংঙের ফেস্টুন , টুপি ,প্লেকার্ড আর শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীদের বাহারী পোষাক পরিচ্ছদে ও ঢুলির তাকধুম তাকধুম ছন্দে র্যালিটি কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এরপর শুরু হয় উদ্বোধন পর্ব । বৈশাখি আলোচনা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর মেলার স্টল গুলো উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ ক্যথিং অং ও উপাধ্যক্ষ আবু মোহাম্মদ জাফর সাদেক।
অনুস্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক শারমিন সিদ্দিকা লিমা । অতিথি বক্তা ছিলেন কলেজ গভণিং বডির সদস্য এডেভোকেট ফরিদুল আলম । সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক আকতার চৌধুরী ।
প্রথমেই ‘এসো হে বৈশাখ , এসো এসো’ কোরাস দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় । এর পর একে একে শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী ও অতিথিদের মন কাড়া সুর আর ছন্দে সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলতে থাকে গান , নাচ আর কৌতুক ।
প্রতিয়োগিতার ও শেষ ছিল না । ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক কর্মচারী ও অতিথিদের জন্য ছিল আলাদা আলাদা ইভেন্ট । যেমন -বলী খেলা , তৈলাক্ত কলাগাছে উঠা , বিস্কুট লাফ , আলু কুড়ানি , বেলুন বাঁচানো , গুলতি দিয়ে হাড়ি ভাঙ্গা , মোরগ লড়াই , সুই সুতা , মেহেদী পরানো , সালাদ ডেকোরেশন এবং সুন্দর বৈশাখী সাজ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি । এসব ইভেন্টে পুরস্কারও বিতরণ করা হয় ।
মেলার আকর্ষন ছিল নাগর দোলা আর স্টল গুলোর বিকিকিনি। প্রচন্ড গরমেও দেখা গেছে উৎসাহী এলাকাবাসীর স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ । আগামীতে এ মেলাকে সিটি কলেজের ঐতিহ্য হিসেবে ধরে রেখে আরো বড় পরিসরে আয়োজনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে দিনব্যাপী অনুষ্টানের সমাপ্তি হয় ।
পাঠকের মতামত: