ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সাগরে ট্রলার ডুবি : আরো ২ জনসহ ৭ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার সংবাদদাতা :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের অদূরবর্তী সাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৭ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ২০আগষ্ট শনিবার ও আজ রবিবার (২১ আগস্ট) পৃথক সময়ে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে একজন।

কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, রবিবার (২১ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন সাগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় জেলেরা তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

তারা হল, কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের পূর্ব হামজার ডেইল এলাকার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে হোসেন আহমদ, একই ইউনিয়নের মামুন পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আজিজুল হক ও হামজার ডেইল এলাকার নুরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আবছার।

এরপর বিকেলের দিকে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা।

তারা হলেন- খুরুশকুল পূর্ব হামজার ডেইল আর্দশ গ্রাম এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে নুরুল ইসলাম ও নাজির হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন। এর আগে শনিবার বিকেল ও রাতে উদ্ধার হয়েছে একই ইউনিয়নের মো. আইয়ুব ও সাইফুল ইসলাম নামের আরও দুই জেলের লাশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের অদূরবর্তী সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে এফবি মায়ের দোয়া নামের মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার সদর উপজেলার খুরুশকুলের জনৈক জাকির হোসাইনের মালিকাধীন এ ট্রলারটি ১৯ জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। পরে ফেরার সময় ট্রলারটির দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় কোস্টগার্ড সদস্য ও অন্য জেলেরা তাৎক্ষণিকভাবে ৮ জনকে উদ্ধার করলেও ১১ জন নিখোঁজ ছিল। পরে শুক্রবার রাতে সাগরে অবস্থানকারী বিভিন্ন ট্রলার নিখোঁজ ১১ জনের মধ্যে আরও ৩ জেলেকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকে ৮ জেলে। নিখোঁজ আটজনের মধ্যে গত শনিবার দুইজন ও রোববার ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছে আরও এক জেলে। তবে দুর্ঘটনার শিকার ট্রলারটি এখনো উদ্ধার হয়নি।

পরিদর্শক সেলিম উদ্দিন বলেন, নিহতের স্বজনরা লাশের ময়নাতদন্ত না করতে অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে আবেদন করেছেন। বিনা তদন্তে মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হন্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

 

পাঠকের মতামত: