ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সরকারি কলেজে বাড়ছে ৫ শিক্ষকের পদ

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::coxs co

কক্সবাজারের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টান কক্সবাজার সরকারি কলেজ পেতে যাচ্ছে ৫ জন নতুন শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের চাহিদা ও দাবীর প্রেক্ষিতে সৃস্টি হতে যাচ্ছে ৫ জন শিক্ষকের নতুন পদ। বাংলা বিভাগে ১ জন সহকারি অধ্যাপক, ইংরেজী বিষয়ে ১ জন সহকারি অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ১ জন সহকারি অধ্যাপক , রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ১ জন সহকারি অধ্যাপক ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ১ জন প্রভাষকের পদ সৃস্টি হতে যাচ্ছে।
বর্তমানে বাংলা, ইংরেজী, রাস্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে ৪ জন করে শিক্ষকের পদ রয়েছে।
বর্তমানে ১০ হাজার ৮‘শ ১২ জন   শিক্ষার্থী রয়েছে এ কলেজে। প্রতি বছরই  বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। চালু হয়েছে নতুন ৩ টি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স। একাদশ শ্রেনীতে বাড়ানো হয়েছে আসন সংখ্যা । সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুন। কিন্তু  সে অনুযায়ী বাড়ছিলোনা শিক্ষক। উল্টো শূন্য রয়ে যাচ্ছে সৃষ্ট পদ। এই পাঁচটি বিভাগের চার জন করে শিক্ষকের অনেক পদ শূন্য থাকায় অতিথি শিক্ষক দিয়েও চালাতে হয় পাঠদান। তারপর নিয়মিত পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। তাই র্দীঘ দিন ধরে শিক্ষকের পদ বাড়াতে চেস্টা করছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে শিক্ষকের পদ সৃস্টির প্রায় সব র্কাযক্রমই শেষের দিকে বাকি রয়েছে শুধু অর্থ মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন। অনুমোদনটি পেলেই কক্সবাজার কলেজ পাবে ৫ জন নতুন শিক্ষক।
বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষাথী তাহারুল ইসলাম বলেন “ চারজন শিক্ষকের জায়গায় রয়েছে দুইজন। অতিথি শিক্ষক রয়েছে । তারপরও শিক্ষার্থী বেশি থাকায় শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস করাতে হিমশিম খান। নতুন একটি পদ বাড়ানো হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।”
রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আবুল মনসুর বলেন “ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষকের অভাবে ঠিক ভাবে ক্লাস করাতে আমাদের শিক্ষকদের অনেক কস্ট হয়ে যায়। শিক্ষকের পদ বাড়ানো খুব প্রয়োজন।”
কলেজ অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন “ প্রতি বছর আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। আমি এ কলেজে যোগদানের পর থেকেই নতুন শিক্ষকের পদ সৃস্টির জন্য চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন শুধু অর্থ মন্ত্রনালয় অনুমোদন দিলেই আমরা নতুন শিক্ষক পাবো। শুধু নতুন পদ সৃস্টিই নয় । আমাদের সৃষ্ঠ অনেক পদই শূন্য রয়ে গেছে । সেসব পদ পূরনের জন্য চেস্টা চালাচ্ছি।”

পাঠকের মতামত: