ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য ২৪০টি পিপিই দিলেন ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ও জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোর জন্য ২৪০টি পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দেয়া হয়েছে। বুয়েট এ্যালামনাইয়ের সহযোগিতায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও পে ইট ফরওয়ার্ড এই পিপিই সরবরাহ করে। প্রকৌশলী মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান এই সংগঠন গুলোর সাথে যুক্ত রয়েছেন।

বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান ও কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মহিউদ্দিনের কাছে ওই পিপিই হস্তান্তর করা হয়। এগুলোর মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে ১০০টি ও উপজেলা হাসপাতাল গুলোর ১৪০টি পিপিই দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এই পিপিই’র সাথে এন৯৫ মাস্ক, গগলস ও হ্যান্ড গ্লাভসও রয়েছে।

ওই সময় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নাদিম মোস্তফা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক ফরহাদ মিলন, নুরুল আবছার সুমনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

করোনা মোকাবেলায় ফ্রন্টলাইনে থাকা চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধ ও তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান।

তিনি বলেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও পেইড ফরওয়ার্ড প্রায় একমাস আগেই বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধে কিছু করার উদ্যোগ নেয়। ওই সংগঠনগুলোর সাথে বুয়েট এ্যালামনাই সদস্যরাও যুক্ত রয়েছেন। যারা আর্থিকসহ নানা ভাবে সহযোগিতা দিয়ে দেশকে করোনা মুক্ত করতে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

তাঁর মতে, আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল সারাদেশে চিকিৎসকদের জন্য নিরাপত্তার জন্য ৪ লাখ পিপিই বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে ৫০ হাজার পিপিই সরবরাহ করা হচ্ছে। মার্কস এন্ড এক্সপেন্সার অষ্ট্রেলিয়ান প্রযুক্তিতে বাংলাদেশেই এই পিপিই তৈরি করেছে।

তিনি মনে করেন, কক্সবাজারের সন্তান হিসেবে কক্সবাজারের জন্য কিছু করতে পারায় তিনি আনন্দিত।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান সাংসদ থাকাকালে কক্সবাজারের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে ২০০৪ সালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত এবং এই হাসপাতালে আইসিও (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) স্থাপন করেন। তার আমলেই এই দুইটি প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ করিয়ে আনেন।

পাঠকের মতামত: