শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার :::
কক্সবাজার শহরের কৃষি অফিস রোডস্থ হামজা মিয়া সিকদার টাওয়ারে দোকান বিক্রির নামে চরম প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজ শুরু আগে সেলামীর নিলেও বছরের পর বছর ঘুরিয়ে দোকান মাকের্ট বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না। এতে করে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে।
অভিযোগে জানা গেছে, কৃষি অফিস রোডে বিশাল সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সম্বলিত চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গত কয়েক বছর আগে দোকান বিক্রির নামে হামজা মিয়া সিকদার টাওয়ার মালিক আনছারুল করিম নামের এক ব্যক্তি হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত দেড় কোটি টাকা। প্রায় আড়াই বছর আগে সেলামীতে ৩৮টি দোকান বিক্রি করা হলেও বিক্রিত দোকানগুলো এখনও পর্যন্ত কোন দোকান ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেয়নি ।
এধরনে কাজ হামজা মিয়া সিকদার টাওয়ার মালিকের নিরাপদ চাহিদা পূরণে অন্যতম কৌশল বলে মনে করছেন টাওয়ারে ক্রয়কৃত দোকান মালিকরা।
কয়েকজন ক্রেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্রে জানান, একটি রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানির নামে নির্মিত হামজা মিয়া সিকদার টাওয়ারে যেসব আইন কানুন পালন করার কথা সে সব নিয়ম নীতি আদৌ প্রতিপলন হচ্ছেনা। চটকদারী বিজ্ঞাপনে সাধারণ ব্যবসায়িদের লোভে ফেলে দোকান বিক্রির নামে টাকা নিয়ে প্রচারণা করা হয়েছে। টাকা টাকা হাতিয়ে নিয়ে টাওয়ারে দোকান বুঝিয়ে দেয়ার কোন লক্ষণ চোখে পড়ছে না। এমনকি দোকান ক্রেতা ব্যবসায়িদেও বিভিন্ন ভাবে হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বছরের পর বছর ব্যবসায়িদের ঘুরানোর কারণে বর্তমানে অন্তত ৩৮ জন ব্যবসায়ি চরম অসহায় ও শংকায় জীবন যাপন করছে।
এদিকে একটি সুত্র জানিয়েছেন, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানির নাম দিয়ে দোকান বিক্রি করলেও কোম্পানী আইন অনুযায়ী নিবন্ধনও নেই। কিন্তু তবুও তারা দোকান বিক্রির নামে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে টাওয়ার মালিক আনছারুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবী করেন, চুক্তিতে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় দোকান বুকিং দিয়েছে কিছু ব্যবসায়ি। কিন্তু তারা চুক্তি ভঙ্গ করায় তাদেরকে দোকান ঘর বুঝিয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এখানে প্রতারণার কিছু নেই।
পাঠকের মতামত: