যন্ত্রপাতি কেনার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক :: ‘সিন্ডিকেট’ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে ১৩ জন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা। অপরজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন সাবেক কর্মকর্তা। গতকাল রোববার দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের সই করা একটি চিঠি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠিয়ে তাদের নির্ধারিত সময়ে দুদকে উপস্থিত হতে বলা হয়। আগামী ১, ২ ও ৩ এপ্রিল তাদের তলব করা হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। যাদের তলব করা হয়েছে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরখাস্ত হিসাবরক্ষক আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রীর সঙ্গে দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
তলবকৃতদের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরখাস্ত আবজাল হোসনের স্ত্রী রুবিনা খানমের মালিকানাধীন রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয় ও সরবরাহের নামে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
১ এপ্রিল যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মো. রেজাউল করিম, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মায়েনু, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন, সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মজেদ, হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবুল বারকাত মুহাম্মদ আদনান। ২ এপ্রিল চারজনকে তলব করা হয়েছে। তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন এবং লাইন ডাইরেক্টর, প্রি-সার্ভিস এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রশিদ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নুরুল আলম, সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শহিদুল হক, এনাটমী বিভাগের প্রভাষক ডা. মো. আশরাফুল ইসলাম। ৩ এপ্রিল বাকি চারজনকে তলব করা হয়েছে। তারা হলেন- কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সুবাস চন্দ্র সাহা, প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহা. কামরুল হাসান, একই মেডিকেলের স্টোর কিপার মো. আবু জায়েদ, হিসাব রক্ষক হুররমা আকতার খুকী।
পাঠকের মতামত: