ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার বেতারের ভুয়া সংবাদ: কক্সবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস!

cox betarডেস্ক নিউজ :

বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার কেন্দ্র থেকে গতকাল (শনিবার) বিকাল সাড়ে ৩ টায় প্রচারিত স্থানীয় সংবাদে আবহাওয়ার খবর শুনে শ্রোতারা খুবই বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। সংবাদ পাঠক এস.এম জসিম সংবাদ পাঠের সময় পড়েছেন, গতকাল কক্সবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তাপমাত্রা ছিল ৮২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ ধরনের তাপমাত্রা পৃথিবীতে থাকা সম্ভব কিনা তা নিয়ে জনমনে চলছে মুখরোচক আলোচনা। ভূয়া সংবাদটির কয়েকজন শ্রোতা বলেন, দোজখের আগুনেও ৯৪ ডিগ্রী তাপমাত্রা থাকবে বলে মনে হয় না। একই সংবাদে কক্সবাজারে বাতাসের আর্দ্রতা সকাল ৬টায় ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দুপুর ১২টায় বাতাসের আর্দ্রতা ২৫ ডিগ্রী সেলাসিয়াস বলে জানানো হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয় শতাংশ দিয়ে। কিন্তু কক্সবাজার বেতার সংবাদ প্রচার করেছে তাপমাত্রা মাপার একক সেলসিয়াস দিয়ে। এ সংবাদ শুনে সাংবাদিকরা কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসে ফোন করলে ওই অফিসের কর্মরত পর্যবেক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানান, বেতার কর্তৃপক্ষকে আবহাওয়ার সঠিক তথ্য সরবরাহ করার পরও সংবাদ তৈরী করা লোকদের জ্ঞানের অভাবের কারণে এমন একটি মারাত্মক ভুল সংবাদ প্রচার করেছে কক্সবাজার বেতার কেন্দ্র। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, সাবেক দুর্নীতিবাজ সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক হেমায়েত আকবর টিপু কয়েকজন আনাড়ী নারী সংবাদকর্মীকে সংবাদ লেখার কাজে নিয়োগ করে ঢাকায় বদলী হয়ে গেছেন। ওই কর্মকর্তার অপকর্মের খেসারত দিচ্ছে কক্সবাজার বেতার কেন্দ্র। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকরা গতকাল বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যারা ভুল সংবাদ প্রচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবাদ প্রচারের জন্য প্রতি বছর তথ্য মন্ত্রনালয় কক্সবাজার বেতারকে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু দিন দিন সংবাদের মান হাস্যকর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে বলে শ্রোতারা জানিয়েছেন। বরাদ্দকৃত অর্থের সিহভাগই দুর্নীতিবাজ সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক আত্মসাৎ করেছেন বলে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু বেতারের সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাকে উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক পদে পদোন্নতি দিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: