সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বায়তুশ শরফের প্রাণ, প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মাওলানা মীর মুহাম্মদ আখতর (রহ.) ও প্রধান রূপকার, প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রাহ.) এর ওফাতবার্ষিকী উপলক্ষে ইছালে ছওয়াব ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ মার্চ বাদে আছর থেকে বায়তুশ শরফ মসজিদের সাবেক খতীব ও কমপ্লেক্সের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা তাহেরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব এমএম সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মরহুম হযরত মীর মুহাম্মদ আখতর র: বায়তুশ শরফের স্বপ্নদ্রষ্টা। ১৯৫২ সালে তিনি বায়তুশ শরফ নামে একটি মসজিদ প্রথম স্থাপন করেছিলেন। এই বাতুশ শরফ সব ধর্মের মানুষের সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত। বায়তুশ শরফের ত্রি রত্মের একজন মরহুম হযরত মীর আখতর (রহ.) ও ২য় জন বয়তুশ শরফের রুপকার মরহুম আল্লামা আব্দুল জব্বার (রহ.)।
তিনি আরো বলেন, বায়তুশ শরফের মহান শ্রদ্ধেয় পীরদ্বয় শিরকমুক্ত ইসলাম প্রচার-প্রসারের কাজ করেছেন। তারা সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। সবশ্রেনী পেশার মানুষ তাদের সান্নিধ্যে সঠিক পথের দিশা পেয়েছেন।
আলহাজ্ব এমএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, বায়তুশ শরফের মরহুম পীরদ্বয় জীবদ্দশায় মসজিদ, মাদরাসা, খানেকাহ, এতিমখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাদের হাতে গড়া অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সুফল মানুষ ভোগ করছে।
তিনি বলেন, মানুষের আত্মার পরিশুদ্ধীর পাশাপাশি বায়তুশ শরফ শিরকমুক্ত, সেবাযুক্ত মানব কল্যানমূলক একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। আর্তমানবতার সেবায় বায়তুশ শরফ নিয়োজিত। এটি বায়তুশ শরফের পীর মুর্শীদদের দোয়া, শিক্ষা ও রূহানী ফয়েজ।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা মহান আল্লাহর অমূল্য দান। আল্লাাহর ওলীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমামের জন্য ও স্বাধীনতার জন্য দোয়া করেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ছয় লাখ রোহিঙ্গার চক্ষু চিকিৎসা করবে অরবীচ ইন্টারন্যাশনাল ও বায়তুশ শরফ যৌথ উদ্যোগে। আর এই চিকিৎসা হবে বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে। এটি অনেক বড় কথা।
বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন রুহুল আশরাফের কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া ইছালে ছওয়াব ও স্মরণসভা রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেষ হয়।
বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ওমর ফারুকের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা ও কক্সবাজার ব্যুরো চীফ শামসুল হক শারেক, বায়তুশ শরফের খাদেম মাওলানা আনোয়ার হোসেন, বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের যুগ্ম-সম্পাদক এসএম কামাল উদ্দিন, বায়তুশ শরফ হিফজখানার প্রধান শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা নাছির উদ্দিন, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমীর সহকারী প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ তৈয়ব, সিনিয়র শিক্ষক ফরিদ আহমদ, শিক্ষক মাওলানা মোতাহেরুল ইসলাম তাহেরী, মাওলানা মামুনুল করিম, মাওলানা শফিউল আলম, বায়তুশ শরফ শাহ কুতুব উদ্দিন আদর্শ মাদরাসার সুপার মাওলানা আবদুল মজিদ, বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আবছার কামাল, চকরিয়া হারবাং জামে মসজিদের খতীব মাওলানা ছৈয়দুল হক, রিদুয়ানুল করিম প্রমুখ। শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ্ব মাওলানা তাহেরুল ইসলাম।
পাঠকের মতামত: