ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে নাগরিক সংলাপ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::  বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে সামনে রেখে ক্লাইমেট ক্যাম্পের অংশ হিসেবে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে নাগরিক সংলাপ।
শনিবার (৪ জুন, ২০২২ইং) বিকেল ৫টায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের হলরুমে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। জলবায়ু ও পরিবেশ ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই ক্যান কক্সবাজার এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টুয়াক সভাপতি আনোয়ার কামাল, বাপা জেলা সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি সায়েদ আলমগীর, কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম, যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাজমুল হক।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম ফরহাদ, এন সাগর ও মোহাম্মদ ফরিদ। উই ক্যান কক্সবাজার এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিফাত জাহান আবরিকা, এনজিও প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোস্ট ট্রাস্টের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও মুসলেম উদ্দিন।
সংলাপে বক্তারা বলেন- কক্সবাজার সকলের
কাছে পর্যটন শহর হিসেবে পরিচিত। এই শহরে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠছে হোটেল। শহরে নেই কোনো সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সৈকতপাড়ে জবাবদিহিতা না থাকায় পর্যটকরা ময়লা ফেলে দুষিত করছে পরিবেশ। অন্যদিকে সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় ও সমন্বয়হীনতার কারণে এই শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক নিয়ম মানা হয়না। একসময়ের ঐতিহাসিক বাকঁখালী নদী আজ ময়লার স্তুপের কারণে পঁচা গন্ধে রূপ নিয়েছে। শহরের মানুষের মাঝে দেখা দিচ্ছে নানান রোগব্যাধি। সবমিলিয়ে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা না গেলে একদিকে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হবে। তেমনি অপরিকল্পিত নগরী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিতি পাবে এই শহর।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, স্থানীয় জনগণক, বিভিন্ন ক্লাব বা সংঘ সহ সকল স্থরের লোকজনকে একসাথে নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। পাশাপাশি হোটেল মোটেল জোনে ময়লাকে বিভিন্ন স্থরে ভাগ করে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলে ক্ষমে আসবে পরিবেশ দূষণ। পাশাপাশি পর্যটকদের সৈকতপাড়ে যেকোনো দ্রব্য কিনলে বাড়তি দাম বাড়িয়ে তা বিক্রি করে পরবর্তীতে ওই প্লাস্টিকজাত দ্রব্য ফেরত দিলে দেওয়া হবে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া টাকাগুলো। এছাড়াও জরিমানা করা গেলে যত্রতত্র বর্জ্য ফেলবে না কেউ।
আলোচনা সভায় উই ক্যান কক্সবাজারের ৩০ জন যুবক অংশ গ্রহণ।
উল্লেখ্য সারাদেশে এই ক্লাইমেট ক্যাম্প আয়োজন করেছে দ্য আর্থ সোসাইটি। তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজারে কমিউনিটি পার্টনার হিসেবে হিসেবে আয়োজক ছিলো উই ক্যান কক্সবাজার।

পাঠকের মতামত: