চকরিয়া নিউজ ডেস্ক :: সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর। প্রতিদিন সকাল ১০ টার পরিবর্তে ১১টায় পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে সকল ফটোকপির দোকান বন্ধ রাখা, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে প্রবেশ করাসহ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবারের পরীক্ষায়। পরীক্ষার সময় বিষয় ও মানবন্টন কমিয়ে এবার পরীক্ষা দেবে পরীক্ষার্থীরা। এমসিকিউ এবং সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোন বিরতি থাকছেনা। প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা শুরু হবে। ১ অক্টোবর পরীক্ষা শেষ হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ঘন্টা। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।গত ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের এটিএম জাফর আলম মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি বিভিীষন কান্তি দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাগণ,জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাছির উদ্দিন, কক্সবাজার মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রমজান আলীসহ সদর ও পৌরসভার কেন্দ্রেসচিবগণ। সড়কে পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করে কেন্দ্রে যেতে পারে সে বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকল কেন্দ্রে নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহনের জন্য এবং আইনশৃংখলা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
এদিকে জেলা প্রশাসকের শিক্ষা ও কল্যান শাখা সূত্রে জানা যায়, জেলায় আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৪৯ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৭৪ জন। তৎমধ্যে এসএসসির ২৯ কেন্দ্রে ২২,৮৮৭ জন, দাখিলের ১৩ কেন্দ্রে ৬,৯১৭ জন এবং ভোকেশনালের ৭ কেন্দ্রে ১২৭০ জন। এসএসসিতে ২৯ কেন্দ্রের কেন্দ্রওয়ারি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হল- কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৮১ জন, ঈদগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৮৬ জন, কক্সবাজার সরকারি বালিকা কেন্দ্রে ৯০০ জন, ঈদগাঁও জাহানারা ইসলাম বালিকা কেন্দ্রে ৬৫০৭ জন, কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রে ৯১৭ জন, খুরুস্কুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫১২ জন, রামু খিজারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮১৩ জন, রামু বালিকা কেন্দ্রে ৫১২ জন, চকরিয়া সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ২০০০ জন, চকরিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ১৫৬৫ জন, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে ২৩৪৭ জন, বদরখালী কলেজ ৫৯৯ জন, কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা কেন্দ্রে ২৬২ জন, ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৬৮ জন, মহেশখালী সরকারি বালিকা কেন্দ্রে ৬২৬ জন, কালামারছড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৫৩ জন, মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৯৮ জন, মহেশখালী বালিকা কেন্দ্রে ৬২৫ জন, ইউনুচখালী নাসিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ৭৬৪ জন,বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৭৬ জন, উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৩৭ জন, উখিয়া বালিকা কেন্দ্রে ৯৩৪ জন, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৯৬ জন, টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭২৩ জন, টেকনাফ আলী আছিয়া কেন্দ্রে ৩৪০ জন, এজাহার বালিকা কেন্দ্রে ৭২১ জন, নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৫৫জন, পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে ৭২০ জন, পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০০০ জন।অপরদিকে দাখিল পরীক্ষায় জেলায় ১৩ কেন্দ্রে ৬৯১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। এদের মধ্যে কক্সাবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪০১ জন, ঈদগাও আলমাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৬০০ জন, কক্সবাজার আদর্শ কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৬৪৪ জন, মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৩৫৫ জন, রামু গর্জনীয়া ফয়জুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ১৬৭ জন, চকরিয়া আনোয়ারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৯০৯ জন, আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৮০৬ জন, কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪৪৯ জন, মহেশখালী পুটিবিলা ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪৮৪ জন, কালামারছড়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫৭৭ জন, রাজাপালং এমইউ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৩৩৭ জন, রঙ্গিখালী দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৬০৭ জন, পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৬৮১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
অপরদিকে ভোকেশনালের ৭ কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২৭০ জন। এরমধ্যে কক্সবাজার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরীক্ষার্থীর কেন্দ্র টেকপাড়া আমেনা খাতুন বালিকা কেন্দ্রে ২৪২ জন, রামু টেক্সটাইল ইনস্টি্িটউট কেন্দ্রে ১৮৪ জন, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৭৪ জন, কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্রে ২৬৭ জন, উখিয়া নুরুল ইসলাম বিএম স্কুল এন্ড কলেজে ১৯০ জন, মহেশখালী আইল্যান্ড হাইস্কুল কেন্দ্রে ১৮৭ জন এবং আল ফারুক দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২৬ জন। জেলা প্রশাসক পরীক্ষা সুষ্ঠুু, নিরপেক্ষ, নকলমুক্ত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন। উল্লেখ্য এবার জেলায় এসএসসি ও ভোকেশনালে ২টি কেন্দ্র বেড়েছে।
পাঠকের মতামত: