রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজার :গত প্রায় এক বছরের ব্যবধানে কক্সবাজার -টেকনাফ মহাসড়কের উখিয়া পর্যন্ত অংশ ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠোছে। ১৫ মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন এ সড়কে দিন দিন অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরু ওয়ান ওয়ে সড়কটির কক্সবাজারের লিংরোড থেকে উখিয়ার পালংখালী পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার সড়কটির প্রায় অংশে সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়কের বিটুমিন উঠে গিয়ে যত্রতত্র গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রোহিঙ্গা শিবিরের অবস্থানের কারনে ছোট মাঝারী ও অতিরিক্ত পণ্য বাহি ভারী যানবাহন চলাচলের হার বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক গুন। এতে দিনের অনেকটা সময় জ্যামে আটকা পড়া মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি প্রানঘাতি সড়ক দুঘটনাও বেড়েছে অশংকাজনক হারে।
কোথাও সমতল ভূমিতে, কোথাও পাহাড়ী টিলার উপর দিয়ে আকাবাকা বয়ে চলা কক্সবাজার- উখিয়া -টেকনাফ সড়ক। ১৮ ফুট প্রশস্ত এ সড়কটি জাতীয় মহাসড়কের অর্থাৎ এন এইচ-১ অংশ। কাগজে পত্রে জাতীয় মহাসড়কের তিলক পড়ানো হয়েছে বাস্তবে এটি একটা আন্তঃউপজেলা ও জোলা সংযোগ সডকের ন্যায় সরু ও এক পথের। জাতীয় মহাসড়ক যেখানে ৪ লেন থেকে ৬ লেনে উন্নীত হচ্ছে সেখানে এ সরু সড়কের উপর কোথাও না কোথাও প্রায় প্রতিদিন জোড়া তালি ও টুনাটুনি করে কোন রকম চালু রাখা হয়েছে। মহাসড়কে উন্নতি করা বা প্রশস্ত করনের মত তেমন কোন অবকাঠামোগত পরিবর্তনের ও কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। কক্সবাজান থেকে উখিয়া পযর্ন্ত সড়কের অংশের বাস চালক জহির, কামাল ভুলু ড্রাইভার জানান সারাদিন গাড়ী চালিয়ে রাতে ঘুমানোর পর সকালে আর বিছনা থেকে উঠতে মন চায় না। কারণ গত বছর পযর্ন্ত গাড়ি চালিয়েছি মোটামুটি যানজট হীন নিরিবিলি অনেকটা ফাঁকা সড়কে। আর গত প্রার বছর ধরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে এখানে ওখানে যত্রতত্র যথন তখন যানযট,পথচারী যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির কারনে বারবার গাড়ির ব্রেক কষতে হয়, গিয়ার বদলানো, কেলাস করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। চতুদিকে খোয়াল রাখা ইত্যাদি কারনে পরিশ্রমও বেশী হয় । সারা শরীর প্রচন্ড ব্যাথা হয়ে যায়।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিত্য নতুন চালক ও যানবাহনে এ সড়কে যাতযাত করার পূর্বে ধারনা না থাকা মালবাহী গাড়িতে অতিরিক্ত পন্য বোঝাই সহ নানা কারনে এসড়কে দুর্ঘটনার হারও বেড়ে চলেছে বলে এসড়কের নিয়মিত গাড়ী চালকদের অভিমত। এ ছাড়াও পুরো সড়ক জুড়ে ফাটলের সৃষ্টি হয়ে ভারি যানবাহনের কারনে যত্রতত্র খানা খন্দক ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে গাড়ি চালাতে গিয়ে খুবই কঠিন অবস্থার মুখমোখি হতে হয়। তাদের মতে এ সড়কে যে বাবে হালকা ও ভারী যানবাহন রেড়েছে সে অনুয়ায়ী সড়কের পরিধি ও ধারন ক্ষমতা বাড়ছেনা।
ফলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল, গর্ত, পাশ থেকে মাটি সরে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি বাড়ছে। উপরন্তু সড়কের উভয় পাশে জবর দখলের কারনে এ সড়কটি দিন দিন ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে তুলছে বলে তাদের অভিযোগ। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উখিয়া অংশের দায়িত্বরত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শফিক জানান, আপাতত বর্ষা মৌসুম কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নিতে হচ্ছে। বড় ধরনের কোন সংস্কার বা মেরামতের কাজ করা হবে না। কারন আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ এ সড়কটি দু’পাশ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে সড়কের উপর চাপ ও দুর্ঘটনার হার অনেকটা কমে আসবে বলে তিনি জানান।
প্রকাশ:
২০১৮-০৭-৩১ ০৯:৫৯:১৭
আপডেট:২০১৮-০৭-৩১ ০৯:৫৯:১৭
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
পাঠকের মতামত: