ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে ৩৩ মৌজায় জমি বেচাকেনা বন্ধ!

coxs logoনিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::::

পর্যটন নগরী জেলা কক্সবাজারের কিছু মৌজা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করা হয় ২০১২ সালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই জোনের সীমানা নির্ধারণ হয়নি।

অথচ সরকারের ওই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন জেলার ৩৩টি মৌজায় জমি বেচাকেনায় এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে। আর জমি রেজিস্ট্রি না হওয়ায় তহশিল অফিসগুলোয় নামজারি ও খাজনা আদায় হচ্ছে না। রাজস্ব আদায়ে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।

জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে কক্সবাজারের নির্দিষ্ট কিছু মৌজায় জমি বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য এলাকার জমি বেচাকেনার ক্ষেত্রেও দরকার পড়ে জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র। ফলে জমি বেচাকেনা করতে না পেরে জেলার হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এসি ল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিট) থেকে যে পরিমাণ অর্থ আদায় করা হচ্ছে তা তাদের বেতন-ভাতার সমপরিমাণ নয়।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সরকারের যে সিদ্ধান্তের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি না, তা কেউ জানে না। তবে সিদ্ধান্তের চিঠিটি বহাল থাকা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন অসহায়। সরকারের অধিগ্রহণের আগে কারো রেকর্ডকৃত কিংবা দলিলমূলে পাওয়া জমি বেচাকেনায় বাধা দেওয়ার নজির বিশ্বের আর কোথাও নেই। ভূমি বিশেষজ্ঞরা এ সিদ্ধান্তকে মানুষের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন।

জানা যায়, ২০১২ সালের ২০ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জমি বেচাকেনা ও স্থাপনা নির্মাণের ওপর কঠোরতা আরোপ করা হয়। মূলত কক্সবাজার টাউন অ্যান্ড সি-বিচ আপ টু টেকনাফ মহাপরিকল্পনাভুক্ত এলাকায় অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার জন্য ইমারত নির্মাণ কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে জেলার ৩৩টি মৌজা চিহ্নিত করে এসব মৌজার অন্তর্ভুক্ত জমি বেচাকেনা এবং স্থাপনা নির্মাণের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কেউ এসব মৌজায় জমি বিক্রি কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র নিতে হবে।

জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজার ঘিরে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ঘোষণার পর থেকেই এখানে ব্যাপকভাবে জমি বেচাকেনা শুরু হয়। বাইরে থেকে লোকজন শত শত বিঘা জমি কিনে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে। কেউ কেউ জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে। এ কারণে সরকারি নির্দেশে জমি বিক্রির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ’

পাঠকের মতামত: