কক্সবাজার সংবাদদাতা :: কিট সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে আগামী রবিবারের (২১ জুন) মধ্যে নমুনা জট প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ (কমেক) কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নতুন করে আরও একটি পিসিআর (পলিমারি চেইন রি-একশন) মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। সর্বমোট তিনটি পিসিআর মেশিন স্থাপনা করা হয় ল্যাবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে একটি পিসিআর মেশিন দিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। আর গত ৩০ মে দ্বিতীয় পিসিআর মেশিন যুক্ত হয়। ১১ জুন তৃতীয় পিসিআর মেশিন যুক্ত হয়। বর্তমানে তিনটি মেশিনেই কক্সবাজার, বান্দরবান এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দাদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলার বাসিন্দার সংখ্যা কমপক্ষে ২৪ লাখ। তার ওপর প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার চাপ রয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগড়া উপজেলা এবং বান্দরবান জেলাসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবের পিসিআর মেশিনের ওপর নির্ভরশীল।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান, বর্তমানে তিনটি মেশিন দিয়ে দৈনিক কমপক্ষে ৬০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। আস্তে আস্তে নমুনা জটও কমে যাচ্ছে। বর্তমানে যে নমুনা জট রয়েছে তা আগামী রবিবার (২১ জুন) শেষ হবে। আশা করছি, কিট সরবরাহ থাকলে আগামী সোমবার (২২ জুন) থেকে ল্যাবে যেসব নমুনা টেস্টের জন্য জমা করা হবে সেগুলোর টেস্ট রিপোর্ট পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেয়া সম্ভব যাবে।
পাঠকের মতামত: