শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার, ৬ এপ্রিল ॥
কক্সবাজার শহরের লাইটহাউস, সৈকতপাড়া, বাদশাঘোনা, ফাতেরঘোনা, বাঘঘোনাসহ অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারিরা বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারিদের উচ্ছেদ,নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তর সমসীমা বেঁধে দিলে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে শত শত নারী-পুরুষ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনকারিদের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ( ভারপ্রাপ্ত ) কাজি আবদুর রহমান বলেছেন, কক্সবাজার শহরের লাইটহাউস, সৈকতপাড়া, বাদশাঘোনা, ফাতেরঘোনা, বাঘঘোনাসহ অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করা লোকজনকে পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা হবে না। তবে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপুর্ণভাবে বসবাসকারি লোকজনকে অতিদ্রুত সরিয়ে নেয়া হবে।
ওই সময় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ‘কক্সবাজার শহরের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অনেক লোক ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছে। এভাবে বসবাস করা যাবে না। তাদেরকে অবশ্যই সরে যেতে হবে। তাদেরকে উচ্ছেদের আগে পুর্নবসান করা হবে। তবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের অতিদ্রুত সরে যেতে।’
মানববন্ধনকারীদেও পক্ষে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। পরে তিনি মানববন্ধনকারী নারী-পুরুষের উদ্দেশ্যে মাইকে ঘোষণা দেন উচ্ছেদের আগে পুর্নবসান করা হবে।
এসময় মুজিব চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের নেত্রী। তিনি গরীব-দু:খী মেহনতি মানুষের নেত্রী। তিনি সব মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আপনাদেরও পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা হবে না। এই জন্য যা যা করা দরকার আমি আপনাদের পাশে থাকবো।’
মানববন্ধনে তারা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের শ্লোগান দেন। এতে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহামদ শামীম এবং পৌর আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম।
প্রসংগত,কক্সবাজার শহরের সব পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করা লোকজনের সরে যেতে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এরই মধ্যে সরে না গেলে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করবে বলে ঘোষণা দেয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
পাঠকের মতামত: