শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,কক্সবাজার ॥
কক্সবাজার সদরের খুরুস্কুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন অসুস্থ রাজনীতির ক্যাড়াকলে পড়ে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে কারান্তরিন। জসিম উদ্দিন এর অনুপস্থিতিতে এলাকায় বিশাল শূণ্যতা বিরাজ করছে । এলাকার বিচার শালিস সহ উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হতে চলেছে। সেই সাথে তার অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প খুরুস্কুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মকান্ডও ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন সচেতন মহল। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েছে ইউনিয়ন বাসি, এমনটাই মত দিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
এলাকাবাসি জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এই জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে খুরুশকুল ইউনিয়নে দলের উন্নয়ন করেছেন তিনি। তৈরি করেছেন আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের শতশত কর্মী। দলীয় ভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি বিপুল ভোটে খুরুস্কুল ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও দলমত নির্বিশেষে এই জনপ্রতিনিধি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। জসিম উদ্দিন জনগনের প্রত্যক্ষ রায়ে নির্বাচিত হওয়ার পর জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যানের মুকুটও রয়েছে তার মাথায়। এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ ও নষ্ট রাজনীতিতে জড়িত মহল দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন খুরুশকুলের তেতৈয়া গ্রামে এক নারীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে এটি মারামরিতে রূপ নেন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে খুরুশকুল থেকে ছুটে যান চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। এসময় গুরুতর আহত আবছারসহ তার স্বজনদেরকে নিয়ে নিজ গাড়িতে করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আবছারকে মৃত ঘোষনা করেন।
এঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করে একটি পক্ষ। ওই সময় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের উপর হামলার চেষ্টা করেন কিছু উশৃঙ্খল যুবক। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়ারম্যান জসিম নিজেই কক্সবাজার থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক চেয়ারম্যান জসিমকে নিরাপত্তা দিয়ে থানায় নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে আসে । পরে দিবারাত্রির মতো সত্য একটি ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে স্বার্থন্বেষী একটি মহল নিহত আবছারের ঘটনায় জসিম উদ্দিনকে মামলার ১নং আসামী করে। এঘটনার পর থেকে এলাকাবাসি ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে জসিম উদ্দিন উক্ত মিথ্যা মামলায় কারাগারে রয়েছে।
এলাকাবাসি বলেন, গত ১৭ জুন খুরুশকুলের তেতৈয়া গ্রামে এক নারীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাটি জানার পর একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং দুই পক্ষকে শান্ত করেন। ঘটনার সময় আহত আবছারকে মানবিকতা দেখিয়ে চেয়ারম্যান জসিম নিজেই গাড়িতে করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন, এটাই কি একজন জনপ্রতিনিধির অপরাধ? এটাই আজ জনগণের প্রশ্ন। কিন্তু স্বার্থন্বেষী মহল ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যাভাবে সাজিয়ে জনপ্রিয় একজন চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করছে। এলাকাবাসি ঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবী করেন।
পাঠকের মতামত: