ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার :::
ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের চার উপজেলার টেকনাফ, উখিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ায় ৫ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। এতে গ্রাহক রয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি। উপজেলাগুলোতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে আসছে। গত সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎবিহীন থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা কবে নাগাদ বিদ্যুৎ-সংযোগ চালু হতে পারে, তা বলতে পারছেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। টেকনাফ পৌরসভার পল্লানপাড়ার স্কুলশিক্ষক তাহমিনা খানম বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে সংরক্ষিত কয়েক হাজার টাকার মাছ-মাংস ও ফলমূল নষ্ট হয়ে গেছে। সন্ধ্যায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া একেবারেই হচ্ছে না।
গতকাল সন্ধ্যায় টেকনাফে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদে আলো জ্বলছে সোলার প্যানেল দিয়ে। টেকনাফ থানায় চালানো হচ্ছে জেনারেটর। বাসাবাড়ির লোকজন জরুরি প্রয়োজনে জেনারেটর চালিয়ে সমস্যার সমাধান করলেও হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সংকট তৈরি হয়েছে। টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্র জানায়, গত সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৭১টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। গাছ পড়ে অর্ধশতাধিক ট্রান্সফরমার নষ্ট ও বিপুল পরিমাণ তার ছিঁড়ে গেছে। অসংখ্য গ্রাহকের মিটারও নষ্ট হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি টেকনাফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি, ট্রান্সফরমার ও তার সংস্কারের জন্য ঢাকা থেকে ৩০ জনের একটি দল টেকনাফ এসেছে। পুরো উপজেলার সংস্কারকাজ করতে মাসখানেক সময় লাগতে পারে। টেকনাফে বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা ৩১ হাজার ৪৮৪। একই কারণে তিন দিন ধরে অন্ধকারে উখিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার প্রায় ৮০ হাজার গ্রাহক। এতে উৎপাদন থেকে শুরু করে সব কাজকর্মে ব্যাঘাত হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, চকরিয়া কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আবদুস সামাদ বলেন, ঈদগাঁও থেকে চকরিয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইনে ৯টি বিদ্যুতের টাওয়ার ও ২৪টি খুঁটি ভেঙে গেছে। ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের সংযোগ তার। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগতে পারে।
পাঠকের মতামত: