চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছের দাবির পেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বদরখালীকে নতুন পৌরসভা গঠন করা হচ্ছে। বিগত সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এমপি ইলিয়াছ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনর দৃষ্টি আর্কষন করে দাবি জানালে জবাদে মন্ত্রী এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দেন।
ইতোমধ্যে বিষয়টির আলোকে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রানালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌরশাখা বদরখালীকে নতুন পৌরসভা অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত এলাকার তফসিল চিহিৃত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রানালয়ের সহকারি সচিব এ.কে.এম আনিছুজ্জামান স্বাক্ষরিত গত ৩০ এপ্রিল মন্ত্রানালয়ের আদেশে আলোকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো পরিপত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রানালয়ের (স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-২ শাখার প্রেরিত স্বারক নং) ৪৬.০০.০০০০.০৬৪.৩১.২০৪.১৭/১৫৫৫ মুলে সহকারি সচিব একেএম আনিছুজ্জামান স্বাক্ষরিত কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো পত্রে জানানো হয়েছে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলাধীন বদরখালী পৌরসভা গঠনের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ (পৌরসভা) আইন অনুযায়ী ২০০৯ এর ৩ ও ৪ ধারা মোতাবেক নিন্মবর্ণিত তথ্যাদিসহ মতামত (প্রস্তাবিত এলাকার তফসিল নিন্মের নির্ধারিত ছক অনুযায়ী সফট কপি সিডিসহ) প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
মন্ত্রানালয়ের প্রেরিত পত্রে যেসব তথ্যের ব্যাপারে মতামত চাওয়া হয়েছে তা হচ্ছে (১) প্রস্তাবিত এলাকার জনসংখ্যা কত পরিমাণ। (২) প্রস্তাবিত এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতিবর্গ কিলোমিটার গড়ে কতজন। (৩) প্রস্তাবিত এলাকার অকৃষি পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তির হার। (৪) অকৃষি প্রকৃতির ভুমির হার। (৫) প্রস্তাবিত এলাকার তফসিল (ইউনিয়নের নাম, মৌজার নাম, জেএলনং এবং দাগ সমুহ ম্যাপসহ)। (৬) প্রস্তাবিত এলাকার দাগ নম্বরসমুহ পরস্পর সংযুক্ত কিনা। (৭) প্রস্তাবিত এলাকাটি সেনানিবাস বর্হিভুত কিনা। (৮) স্থানীয় আয়ের উৎস। (৯) সরকারি অনুদান বা সাহায্য ব্যতীত প্রস্তাবিত এলাকার বিগত ৩ (তিন) বছরের গড় রাজস্ব আয়।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে উপকুলীয় অঞ্চলের বদরখালী ইউনিয়নটি জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ। ইউনিয়নে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তর সমবায় প্রতিষ্ঠান, কলেজসহ বিপুল পরিমাণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে কয়েক হাজার দোকানপাট এবং বিপুল পরিমাণ চিংড়ি ও লবনসহ বিভিন্ন চাষাবাদ। তিনি বলেন, ইউনিয়নটির গুরুত্ব বিবেচনা করে তিনি বদরখালীকে নতুন পৌরসভা অনুমোদনের জন্য সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন। পরে মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি (এমপি ইলিয়াছ) ইতোমধ্যে এব্যাপারে একটি ডিও লেটারও মন্ত্রানালয়ের পাঠিয়েছেন। এমপি ইলিয়াছ বলেন, শুনেছি বিষয়টির আলোকে মন্ত্রানালয়ের সহকারি সচিব স্বাক্ষরিত একটি পত্র প্রস্তাবিত এলাকার তফসিল চিহিৃত করণ পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করেছেন।
এদিকে বদরখালীকে নতুন পৌরসভা করা হচ্ছে খবর শুনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন ও চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি হাজি ইলিয়াছকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বদরখালী ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনসাধার। #
পাঠকের মতামত: