এমপি মোহাম্মদ ইলিয়াছের স্বাক্ষর জাল করে টৈইটং পশ্চিম সোনাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচন করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষক এমপির স্বাক্ষর জাল করে ম্যানেজিং কমিটিতে বিদ্যুৎসাহী ক্যাটাগরীর পুরুষ ও এক নারীকে সদস্য করেছেন। প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের পাঠদান দারুণ ভাবে ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে সময় মতো না আসা সহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ১২এপ্রিল টৈইটং পশ্চিম সোনাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: দিলরুবা খানম চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য মো: ইলিয়াছের স্বাক্ষর জাল করে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে বিদ্যুৎসাহী নিয়োগ দিয়েছেন। মুলত ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিজের পক্ষে এনে তার অনিয়ম ও দূর্নীতি ঢাকতে এধরণের জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে অফিসের কাজের কথা বলে প্রায় সময় স্কুলে হাজির থাকেন না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় হওয়ার কারণে অন্য কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এভাবেই চলছে পশ্চিম সোনাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পাঠদান ও অন্যন্য কার্যক্রম। প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে অফিসের কাজের কথা বলে প্রায় স্কুলে হাজির থাকেন না। তার চট্টগ্রাম শহরে বাসা রয়েছে। সেখান থেকে এসে সময় মতো ক্লাস নিতে পারে না বলে জানান স্থানীয়রা।
প্রধান শিক্ষক মোছা: দিলরুবা খানম এর সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য মো: ইলিয়াছের স্বাক্ষর আমি নেবো কেন ? দুইজন বিদ্যুতসাহীর নাম দিয়ে স্বাক্ষর করা চিঠি অফিস থেকে আমার কাছে এসেছে।
আমি বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়ম করিনি। কিছু মানুষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ মো: ইলিয়াছ বলেন, পশ্চিম সোনাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইজন বিদ্যুতসাহী কখন স্বাক্ষর নিয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তবে ওই বিদ্যালয়ের জন্য মেহেদী হাসান ফরারেজী নামে একব্যক্তির স্বাক্ষর দেওয়ার কথা জানান। এরপরও কেউ স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছে কিনা দেখবেন বলে জানান।
পাঠকের মতামত: