নিউজ ডেস্ক :: জেলা পর্যায়ে এমপিদের পছন্দে এবার কমিটি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ।
শনিবার খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর বনানীতে তার নিজ কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে কাজী জাফরউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এমপি সাহেবদের পছন্দ হয় না, সে কারণে অনেকের নাম বাদ যাচ্ছে। এবার যাতে এগুলো না হয়, সেদিকে আমরা কঠোর ভাবে লক্ষ্য রাখব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলা পর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলো করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যে অভিযোগ আছে, সেগুলো পরীক্ষা করব। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে যারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের জন্য কষ্ট করে এসেছেন, শ্রম দিয়েছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আমরা কমিটি করব।’
জেলা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের দ্বন্দ্ব নিরসন কীভাবে করা হচ্ছে জানতে চাইলে কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ‘আমরা একজনের জন্যই কাজ করব। তিনি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। অন্য কারও সঙ্গে আমরা কাজ করছি না।’
খুলনা বিভাগে জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো শেষ হতে কত সময় লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটা বৈঠক করাই কঠিন। আমাদের যদি সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হয়, তবে প্রত্যেক জেলায় গিয়ে যাচাই-বাছাই করতে হবে। তারপরে কমিটি দিলে একটু সময় লাগবে।’
আগামী দুই মাসের ভিতরে খুলনা বিভাগের জেলা কমিটিগুলো শেষ হবে বলেও জানান জাফরুল্লাহ।
এ সময় আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারী ও স্বজনপ্রীতি ঠেকাতে আমরা কাজ করব । কারণ দলের প্রকৃত পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের বাদ দেয়া হচ্ছে । কারও পছন্দের জন্য পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা সুযোগ পাবে না, এটা যেন না হয়। নেত্রী এটা শত ভাগ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের বলেছেন।‘
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষক লীগের কমিটিতে বিতর্কিতদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিতর্কিতদের কমিটিতে থাকার কোনো সুযোগ নেই।সুত্র: নিউজবাংলা
পাঠকের মতামত: