ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

উদ্বোধনের পর পরই উধাও কক্সবাজারের বাঁকখালী সেতুর বাতি

মনির আহমদ, কক্সবাজার :  প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্ভোধনের পরেই উধাও হয়ে গেছে সেতুর দৃষ্টিনন্দন লাইট। দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা আট পর্যন্ত আলো ছড়িয়েছিল লাইটগুলো। শনিবার ১১ নভেম্বর কক্সবাজারবাসীর বহুল কাঙ্খিত দৃষ্টিনন্দন বাঁকখালী সেতুর সঙ্গে আরও ১৬টি প্রকল্পের দ্বার উন্মোচন করেন তিনি। উদ্বোধন পর্বর্তি শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকখালী সেতুতে চলে আতশবাজি উৎসব। কিন্তু সন্ধ্যার পরই সেতু থেকে মূল্যবান ১২টি বাতি চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উদ্বোধনের দিন আলোকসজ্জায় সেতুকে রাঙিয়ে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেই সুযোগে ১২টি বাতি চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

বাঁকখালী সেতু দর্শনে গিয়ে জানতে পারি সেতুর ওয়ালে লাগানো বাতিগুলো উধাও। সেখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল উদ্বোধনের পর সেতুটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সুযোগে সেতুর দুই পাশের ১২টি বাতি চুরি হয়ে যায়। বাকি বাতিগুলো চুরি হওয়ার আশঙ্কায় খুলে রাখে কর্তৃপক্ষ। যানবাহন ও পথচারী চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। নিরাপত্তার কারনে লাইটগুলো আমার অফিসের লোকজনই খুলে নিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে আমি একটি নোটিশ টাংগানোর জন্য বলে দিয়েছি।
উদ্ভোধনের পরেই উধাও হয়ে গেছে কথাটি চাওর হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৯৬ মিটার দৈর্ঘ্যের দৃষ্টিনন্দন এই সেতু শনিবার (১১ নভেম্বর) উদ্বোধন করেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজার শহর থেকে নদীর উত্তর পাড়ে খুরুশকুলের আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য বাঁকখালী নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

পাঠকের মতামত: