সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া ::
উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৪ আসন। রোহিঙ্গাদের কারণে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে এ দু’উপজেলা। তাছাড়া ভাগ্যবান আসন হিসেবে পরিচিত এ আসনটি নিয়ে কক্সবাজার জেলাসহ দলীয় হাই কমান্ডের আলাদা দৃষ্টি থাকে। কারণ এ আসনটিতে যে দল জয়লাভ করে সে দলই সরকার গঠন করার একটি রেওয়াজ রয়েছে। এটাই হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কক্সবাজার জেলায় মর্যাদার আসনটি বড় দু’দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপর্ণ। তাই দু’দল ছাড়াও অন্যান্য দলের ডজনখানেক প্রার্থী মাঠে-ময়দানে রয়েছেন, করছেন বিভিন্নভাবে দৌড়ঝাঁপ। তবে ইতিমধ্যেই সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে আব্দুর রহমান বদির মনোনয়ন নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকলেও বিএনপি তাদের একক প্রার্থী নিয়ে খোশ মেজাজে রয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে কে পাচ্ছেন মনোনয়ন তা নিয়ে জনমনে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। এরই মাঝে চলছে সাম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ, কর্মী সভা, উঠোন বৈঠক ইত্যাদি, কেউ কেউ হাই কমান্ডেও শেষ মুহূর্তে চেষ্টা তদবির চালাচ্ছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে নানা বিশ্লেষণ, সমীকরণ।
দেশের সর্ব দক্ষিণের দুটি উপজেলা শহর নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৪ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৯ জন। টেকনাফ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৫৭ জন ও উখিয়া উপজেলায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৩২২ জন ভোটার রয়েছে। এ আসনে মিয়ানমার থেকে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন উখিয়া-টেকনাফে। তাই এ আসনের নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও তৃণমূল পর্যায়ের ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণ চাঞ্চল্য। বলা বাহুল্য ১৯৯১ সালে এই আসনে জয়লাভ করেছিলেন বিএনপি প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির শাহজাহান চৌধুরীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীকে পরাজিত করে বিএনপির শাহজাহান চৌধুরী পূনরায় এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির শাহজাহান চৌধুরীকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের আব্দুর রহমান
বদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির তাহা ইয়াহিয়াকে পরাজিত করে আবারো নির্বাচিত হন আবদুর রহমান বদি।
বর্তমান সরকারের সময়ে কয়েকটি বিষয়ের জন্য সবচেয়ে আলোচিত কক্সবাজার-৪ আসন। ইয়াবা ও মানব পাচারের স্বর্গরাজ্য হিসেবে সারা দেশে আলোচিত এই অঞ্চলটি। যেমনি ভাবে আলোচিত হয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন প্রায় অর্ধডজন সাম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপি থেকে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর কোনো বিকল্প প্রার্থী মাঠে দেখা মেলেনি। তবে শেষ মুহূর্তে যদি তিনি কোনো কারণে নির্বাচন করতে না পারেন সেক্ষেত্রে প্রার্থী হিসেবে শাহজাহান চৌধুরীর ছোটভাই উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী এগিয়ে থাকবে বলে নেতাকর্মীদের অভিমত। জামায়াত থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শাহজালাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান ও টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি এ তিন জন থেকে যেকোনো একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে পারেন। এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে গেল নির্বাচনে অংশ নেয়া তাহা ইয়াহিয়াও পুনরায় লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। এছাড়াও একই দল থেকে উখিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো ও টেকনাফ উপজেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মনজুর আলম দলীয় মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান এমপি আব্দুর রহমান বদি, সাবেক এমপি ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ্ আলম ওরফে রাজা শাহ আলম ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী। একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি দুই উপজেলায় দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন। তন্মধ্যে স্কুল, কলেজ, ব্রিজ, কালভার্ট, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ শিক্ষা প্রসারে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। এছাড়াও দানশীল ব্যক্তি হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে রয়েছে তার অভাবনীয় জনসমর্থন। একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমপি বদির সঙ্গে নেতাকর্মীদের দূরত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দলীয় প্রার্থিতা পাওয়া না পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাছাড়া তিনি নানা কারণে বিতর্কিত। তবে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, যে যাই কিছু বলুক শেষ পর্যন্ত আবদুর রহমান বদিই দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। এই আসনে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর সঙ্গে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনা একমাত্র বদির পক্ষেই সম্ভব। উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী জানান, বিএনপির একমাত্র প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী। কেন্দ্র থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেয়ে তিনি মাঠে নেমে পড়েছেন। উখিয়া-টেকনাফে শাহজাহান চৌধুরীর বিকল্প একমাত্র শাহজাহান চৌধুরী।
প্রকাশ:
২০১৮-০৫-১৬ ১২:০৬:১৬
আপডেট:২০১৮-০৫-১৬ ১২:০৬:১৬
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদের পুকুরে ডুবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় সমিতির নামে অসহায় পরিবারের দশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে
- কিশলয় স্কুলের কেরানী সেলিম কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্চিত
- চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার অফিস থেকে শটগান ও ২৮রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার
- চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদ এলাকায় সরকারি জায়গা দখল নিয়ে উত্তেজনা, হট্টগোল হাতাহাতি
- জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে
- শহরতলীর রাবারড্যাম সড়কে নির্মাণাধীন মসজিদের জমি দখলে হামলা, ভাংচুর-লুটপাট
- কিশলয় স্কুলের কেরানী সেলিম কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্চিত
- চকরিয়ায় মসজিদের উঠান থেকে কাফনের কাপড়সহ কার্টুনভর্তি নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদ এলাকায় সরকারি জায়গা দখল নিয়ে উত্তেজনা, হট্টগোল হাতাহাতি
- চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার অফিস থেকে শটগান ও ২৮রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় সমিতির নামে অসহায় পরিবারের দশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
পাঠকের মতামত: