ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছুটিতে তাই…..

indexফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মস্থলে নেই এ সুযোগে কোটবাজার সহ বিভিন্ন স্টেশনের সরকারী জায়গা ফের অবৈধ স্থাপনা তৈরির প্রতিযোগিতা শুরুর ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাজার ইজারাদার দাবী করে ক্ষমতাসীন দলেরর কতিপয় নেতাদের প্রত্যেক ও পরোক্ষ ইন্দনে জবর দখলে নেমে পড়ায় নাগরিক সমাজ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশ সহ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন উখিয়ায় যোগদানের পর থেকে মডেল উপজেলা রুপান্তর করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বিশেষ করে উখিয়া সদর, কোটবাজার, মরিচ্যা, সোনারপাড়া, থাইংখালীসহ বিভিন্ন স্টেশনে সরকারী জায়গার উপর গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নেমে পড়ে। তার দু:সাহসিক উচ্ছেদ অভিযান দেখে সুশীল সমাজ, সচেতন নাগরিক এবং সর্বস্থরের জনসাধারণ সাধুবাদ জানান। এর পর উখিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা শুরু করে পরিস্কার পরিছন্নতা অভিযান। সকল শ্রেণীর নাগরিক সমাজ কে নিয়ে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ সকল স্টেশনকে ময়লা-আর্বজনা মুক্ত করেন। শুধু তাই নয় যানজট নিরসনেও উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ মোতাবেক স্টেশন গুলো দীর্ঘদিনের যানজট নিরসনে সক্ষম হন তিনি।

ধারাবাহিক এ সফল অভিযান গুলো জনসাধারণের মাঝে সুফল বয়ে আনতে গণসচেতনামূলক সমাবেশ ও করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার কর্মদিবসের পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈনুদ্দীন ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করার জন্য বিশেষ ছুটি নিয়ে ঢাকায় রওনা দেয়। এ সংবাদ জানা জানি হলে অর্থাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উখিয়া নেই এ সুবাদে কতিপয় প্রভাবশালীমহল রাতারাতি কোটবাজার ও উখিয়াসহ বিভিন্ন স্টেশনে অবৈধ স্থাপনা তৈরির মহড়া শুরু করে। কিন্তু বিধিবাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন ছুটি শেষে ঢাকা থেকে কর্মস্থল উখিয়ায় ফেরার পথে সদর্পে উচ্ছেদ অভিযানে নেমে পড়লে চার দিকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিকেল ৩টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোটবাজারের হঠাৎ এসে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সহ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়। এমনকি গাড়ী ভর্তি করে অবৈধ স্থাপনার মালামল ও নিয়ে যায়।

কোটবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আপ্রাণ চেষ্টা করে এ স্টেশনকে আর্বজনা ও যানজট মুক্ত করেছিল। ছুটি নিয়ে শুধু মাত্র কয়েকদিনের জন্য কর্মস্থলে না থাকার সুযোগে জবর দখলকারীরা সরকারী জায়গায় ফের অবৈধ স্থাপনা তৈরি করাটা খুবই দু:খজনক।

কয়েকজন সচেতন নাগরিক অভিযোগ করে জানান, বাজার ইজারাদার দাবী করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সহযোগিতায় সরকারী জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরির মদদ দিচ্ছিল। তবে নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন গতকাল বিকেলে অভিযান চালিয়ে তা অপসারণ করে দিলে সচেতন ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্থির ফিরে আসে।

 

পাঠকের মতামত: