উখিয়ার উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব দরগাহবিল বাগান পাড়া গ্রামে বিষপানে মনোয়ারা বেগম (৩৩) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। সে পূর্ব দরগাহবিল বাগান পাড়া গ্রামের রশিদ আহম্মদের মেয়ে এবং ছৈয়দ আলমের স্ত্রী। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামীর সাথে মনোয়ারা’র পারিবারিক কলহ চলে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। এর জের ধরে গত সোমবার সকালে মনোয়ারা বেগম বিষপান করিলে আত্মীয় স্বজনেরা তাকে মূমর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর অবস্থা বেগতিক দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সে খানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সে মারা যান। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, কোর্টের রির্পোটের উপর ভিত্তি করে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশটি দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
………………………………………………………
বিজিবির অভিযানে ইয়াবা ও পাচারকারী আটক
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টের বিজিবি সদস্যরা কক্সবাজার গামী ১টি সিএনজি গাড়ি তল্লাশী চালিয়ে ১৯৯৭ পিস ইয়াবা সহ ১ জনকে আটক করেছে। আটককৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী উখিয়া উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নের খলিয়া পাড়া গ্রামের সুলতান আহমদের ছেলে মোঃ শাহ জালাল (২৫)। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা। ৩৪ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক শাহরিয়ার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টের বিজিবির সদস্যরা সিএনজি গাড়ি তল্লাশী এ পরিমাণ ইয়াবা ও পাচারকারীকে গত শূক্রবার বিকেলে আটক করেন। আটককৃত ব্যক্তিকে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
……………………………………………………………………..
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ওপর গাছগুলো দুর্ঘটনার কারণ
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া::
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ওপর বড় বড় গাছগুলো দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উখিয়া সদর ষ্টেশন জামে মসজিদের সামনে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ফটক সংলগ্ন কক্সবাজার টেকনাফ আরাকান সড়কের দুই হাতের মধ্যে বিশাল গাছটির কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ছাত্রছাত্রীসহ দুরপাল্লার যাত্রীবাহি গাড়ি চলাচলে গাছটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রকম শতাধিক গাছ মারাত্বক ঝুঁিকর মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যাত্রী ও ছাত্রছাত্রীরা শংকিত। ৭৯ কিলোমিটার সড়কের শতাধিক গাছ যেন মরণ ফাঁদ। সড়ক ও জনপদ বিভাগের উচিত জনস্বার্থে গাছগুলো অনতিবিলম্বে কেটে ফেলা। ইদানিং যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সময় উপযোগী সড়কের উন্নয়ন না হওয়ায় এবং গাছগুলোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন যাত্রীসাধারণ। উখিয়া সদর ষ্ঠেশন একটি জনবহুল এলাকা হওয়াসহ উখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কেজি স্কুলের কচিমনা ছাত্রছাত্রীরা এ সড়ক দিয়ে পারাপার হয়ে বিদ্যালয়ে যায়। বেপরোয়া গতি নিয়ে চলাচলরত অধিকাংশ যানবাহন এখানে মুখোমুখী সংঘর্ষের সৃষ্টি করছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাতী ও গ্রীণবার্ড কেজি স্কুলের এক ছাত্র গেল বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারাতœকভাবে আহত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক জানান,সরু রাস্তা,তার ওপর রাস্তার দুহাতের মধ্যে বড় বড় গাছ সাইড় দেয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এমনিতেই দুইটি বড় বাস ক্রসিং করে চালানোর জন্য রাস্তা সংকোচিত হওয়ার কারণে সম্ভব হচ্ছে না। মাষ্টার ফরিদুল আলম জানান, কক্সবাজার টেকনাফ সড়কটি পর্যটন সড়ক হিসেবে যতটুকু উন্নয়ন করা দরকার ততটুকু উন্নয়ন এখনো হয়নি। তাছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিকাংশ জায়গা বেদখল হয়ে আছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে এক জরুরী মিটিংয়ে থাকায় তার পরিবর্তে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিক রায়হানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক ১৮ ফিট। এশিয়ান হাইওয়ে এর কাজ শুরু হলে তখন বড় বড় গাছগুলো কর্তন হবে পাশাপাশি সড়ক ও জনপদ বিভাগের দখলদারদের উচ্ছেদ করে প্রসস্থ রাস্তা নির্মাণে সহায়ক ভুমিকা থাকবে।
পাঠকের মতামত: