উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা এখন তুঙ্গে। এখন চলছে উপ-নির্বাচনের আমেজ। যতই দিন ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনা। প্রার্থীদের দৌড় ঝাপ চলছে গ্রামে গ্রামে। পথসভা করছেন হাটে বাজারে এলাকায় এলাকায়।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরেই লিফলেট হাতে নিয়ে ৫ প্রার্থীর ঘৌড় দৌড় শুরু হয়েছে। কোকিল ডাকা ভোর থেকে প্রার্থীরা ছুটছেন বাড়ী বাড়ী । উঠোন বৈঠক থেকে শুরু করে প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে হচ্ছে নির্বাচনী সমাবেশ। প্রার্থীরা দিনরাত নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। থেমে নেই কর্মী সমর্থকরাও। চলছে ছোটখাটো বাজারে ও প্রতিটি গ্রামের চায়ের দোকানে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের আড্ডা।
৫ প্রার্থীর সমর্থকেরা তাদের মনোনীত প্রার্থীদের গুনগান গাইছেন। কেউ কেউ বলছেন আমার প্রার্থী গরীবের বন্ধু। আবার কেউ কেউ বলছেন আমার প্রার্থী গরীবের হক আদায়ে সমর্থ হবে। এছাড়াও ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে প্রার্থীরা তাদের মনের ইচ্ছার কথাও প্রকাশ করছেন বলে ভোটাররা জানান। নাওয়া খাওয়া ভুলে সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা ভোটারদের সুখ দুঃখের কথা শুনছেন। ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্র“তি। তবে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবেন বলে জানা গেছে।
আগামী ১৬ এপ্রিল ৫ ব্যক্তির মধ্যে মাত্র ১জনের মুখে ফুটবে হাঁসি। গলায় ফুলের মালা পড়ে ঘুরে বেড়াবে বেশ কয়েকটি গ্রাম ও বাজার এলাকা। সাথে থাকবে কিছু মানুষ। শ্লোগান দিয়ে বলবে দেখিয়ে দিল অমুক ভাই। এরপর সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পড়বে শপথ। শুরু হবে জনগনের সেবা করা।
আইনী বাধ্য বাধ্যকতায় উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন। এতে গত ২০ মার্চ মনোনয়ন পত্র দাখিলের দিন ধার্য্য করে আগামী ১৬ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হয়। নির্ধারিত তারিখে ৮ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও পরবর্তীতে মাহাবু উদ্দিন, নুরুল কবির ও রশিদা বেগম তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এরা হলেন, মোঃ সেলিম কায়সার (তালা মার্কা), মহিউদ্দিন মুন্না (মোরগ), গোপাল বড়ুয়া (টিউবওয়েল), আনোয়ার হোসেন (ভ্যানগাড়ি) মোঃ শাহাজাহান (ফুটবল) প্রতিকে নির্বাচন করছেন।
কে হবে ২নং রতœা পালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার এ নিয়ে হিসেব নিকাশ চলছে ভোটারদের মাঝে। আবার সুষ্ঠ নির্বাচন হবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সুত্র। এদিকে সুষ্ট নির্বাচনের আশা করছেন সুশীল সমাজ ও অধিকাংশ ভোটাররা।
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৩২৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯৮ ও মহিলা ভোটার ৬২৮ জন। কোন প্রার্থী এখন অভিযোগ করেনি। তবে নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় কোন প্রার্থী আইনের ব্যতয় ঘটালে সে মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচিত ইউপি সদস্য নুরুল হক মনুর আকস্মিক মৃত্যুতে মেম্বার শুন্য হয় উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়ন।
পাঠকের মতামত: