মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :
ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারের নির্বাচন চেয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। বাজারের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রদত্ত এ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, সরকার প্রতি বছর এ বাজার থেকে কোটি টাকার উপর রাজস্ব আদায় করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকার আসে, সরকার যায় কিন্তু এ বাজারে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি চোখে পড়ে না। গত ডিসেম্বরে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন প্রিন্স হোটেল এবং বেসরকারী ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে এক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছিলেন। অভিযান চলাকালে সেখানে উপস্থিত বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের ২ প্রভাবশালী সদস্য যথাক্রমে মোঃ শওকত আলম শওকত, হুমায়ুন কবির হুমুসহ সংশ্লিষ্টদের গত জানুয়ারীর পূর্বেই নির্বাচন আয়োজন করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা পরদিন স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। তখন বাজারে ভোট প্রত্যাশীরা আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন। অন্যদিকে বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ এক বৈঠকে বসে সর্বসম্মতভাবে বাজারের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আলহাজ¦ জসিম উল্লাহ মিয়াজীকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছিলেন। তার নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশন ব্যবসায়ীদের ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হতে পত্র-পত্রিকা, মাইকিং ও মৌখিকভাবে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। উক্ত কমিশনের অধীনে প্রায় দেড় সহ¯্রাধিক ব্যবসায়ী ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্তির জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। কমিশনের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে বেশ কিছু ভোটারকে পরিচয়পত্রও বিতরণ করা হয়েছে। বলা চলে, পুরো বাজারে তখন একটা নির্বাচনী হাওয়া বিরাজ করছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পরবর্তীতে তা থেমে যায়। অপরদিকে বাজারে যুগ যুগ ধরে অবস্থিত ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কার্যক্রম উর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাসখানেক পূর্বে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের শাহ ফকিরা বাজার সংলগ্ন তদন্ত কেন্দ্রের নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়। সে থেকে বাজারের ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এখন বাজারে চুরি-চামারি, ঝগড়া বিবাদ নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে উঠেছে। সামাল দেয়ার কেউ নেই। নেই এ ব্যাপারে কারো মাথা ব্যাথা। এহেনতর পরিস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে বাজার পরিচালনার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী ও নির্বাচিত কমিটি থাকা দরকার। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য বাজার পরিচালনা কমিটি গঠন করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ব্যবসায়ীদের পক্ষে মোহাম্মদ কুতুব উদ্দীন চৌধুরী। এতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন মফিজ উদ্দীন, মা-মনি স্টোরের হাসান উদ্দীন, হাসান ফ্যাশনের গিয়াস উদ্দীন, ফ্যাশন মার্কের মাওলানা রশিন, মডার্ন গার্মেন্টসের নুরুল আলম, মনিকা ফ্যাশনের আবদুল হামিদ, তারিন গার্মেন্টসের বেলাল উদ্দীন, আল নোমান, সেলুন দোকানদার সনজিত কান্তি দে, ধোয়া দোকানের নির্মল কান্তি দে, শাহ জামাল ইলেকট্রিকসের মোঃ শাহজাহান, ভাই ভাই ইলেকট্রিক এন্ড হার্ডওর্য়ারের মোঃ শফি আলম, আল শামীম ফার্মেসীর রফিকুর রহমান, কালার ব্যাংকের রুহুল আমিন, সেইফ হোম ইলেকট্রিকসের গরিব উল্লাহ, মিষ্টিবনের রমজান আলী, জুনাইদ ফ্যাশনের মিজান উদ্দীন, মোঃ বেলাল উদ্দীন, স্বপ্নেরসিঁড়ির মোঃ ইরফান, বাংলার আরিফুল ইসলাম, গেট আপের মোঃ ফরিদুল আলম, রক স্টাইলের মোঃ রুবেল, আইনান ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মোঃ আশরাফ, শ্রীপলী জুয়েলার্সের লক্ষণ ধর, ইসলামিয়া স্টোরের আবদুল গফুর, এশিয়া ফার্মেসীর আরফাত হোসেন প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: