স্টাফ রিপোর্টার, ঈদগাঁও :: ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের স্পর্শকাতর স্থানে জন গনের জানমাল নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থায়ী একটি পুলিশ কিংবা বিজিবি ক্যাম্প স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন।
জীবন যাত্রার প্রয়োজনে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বৃহত্তম রাবার বাগান প্রকল্পের মূল যাতায়াত পথ হিসেবে এই সড়ক একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গুটিকজন বিচ্ছিন্ন অপরাধীচক্রের কাছে এতদঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ জিম্মি রয়েছেন বহুদিন ধরে। অপরাধী চক্ররা নানান সময়ে সুযোগ বুঝে সড়কে ডাকাতি ও খুনের মতো নৃসংসতা ঘটাতে দ্বিধাবোধ করেনা। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় সাধারণ জনগণ,ব্যবসায়ী,চাকরীজিবীসহ নানা শ্রেনী পেশার লোকজন ডাকাতি,অপহরন ও প্রাণ নাশের আতঙ্কে থাকে। স্বাধীনভাবে চলা ফেরা করতে গিয়ে হরেক রকমের আতংক যেন তাদের মাঝে নাড়া দেয়। এ সড়কের বিপজ্জনক স্থানে একটি স্থায়ী পুলিশ কিংবা বিজিবির ঘাটি স্থাপন করে ডাকাত দলের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করার প্রতি আহবান জানান। এছাড়া বিভিন্নজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তোলপাড় করে বিজিবি অথবা স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনে।
ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুস ছালাম তাঁর ফেইসবুক পেইজে লিখেছেন, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ডাকাত সং গঠিত এলাকায় বিজিবি অথবা পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা সর্বসাধারনের একান্তই দাবী।
জেলা যুবলীগের সাবেক নেতা হুমায়ুন কবির হুমু লিখেছেন, জেলার এ স্পটে যেখানে বেশ কয় বছর আগে থেকে ডাকাতি,অপহরন হয়। যার শেষ বলিদান স্নেহের জনি। এ স্পটে পুলিশ বা বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন করার প্রতি জোর দাবী রইল।
ইরফান উদ্দিন নামের এক যুবক, ঈদগাঁও এবং ঈদগড় সড়কের বিপদজনক স্থানে একটি স্থায়ী নিরাপত্তা ঘাটি স্থাপনের জন্য আবেদন জানান পুলিশ সুপারের কাছে।
উল্লেখ্য, ৮ই অক্টোবর সকালে এই সড়কে ডাকাতের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী জনি নিহত হয়।
পাঠকের মতামত: