মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::
সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব পোকখালী গ্রামের মালয়েশিয়া ফেরত যুবক শওকত আলীকে পুলিশ পরিচয়ে বোনের বাড়ী থেকে ঈদের দিন অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। শনিবার (৯ জুলাই) বিকেলে ঈদগাঁও বাজারস্থ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে নিহত শওকত আলীর পরিবার এ দাবী করেন। নিহতের পিতা আবুল কালাম প্রকাশ রাজা মিয়া উল্লেখ করেন তার পুত্র শওকত আলী (২৫) প্রায় ২ মাস পূর্বে মালয়েশিয়া থেকে ছুটি নিয়ে বেড়াতে দেশে আসেন। ঈদুল ফিতরের দিন তার মা, স্ত্রী ও সন্তানসহ পার্শ্ববর্তী সেনাতিয়া ঘোনাস্থ বোনের বাড়ীতে (মৌলভী হাবিবুর রহমান) বেড়াতে যান। ঐ দিন সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৭টায় ২টি সিএনজি যোগে ৮ জন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়ীতে প্রবেশ করে তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে পরিবারের লোকজন ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খোঁজ নিতে আসলে তারা এ জাতীয় ঘটনা ঘটেনি বলে জানান। এরপর কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন থানা ও ডিবি অফিসে খোঁজ খবর নেন। পরদিন সকালে ঈদগাঁও পুলিশ কর্তৃক এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার সংক্রান্ত খবর পেয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এসে লাশ দেখতে না পেয়ে কক্সবাজার চলে যান। সেখানে গিয়ে নিশ্চিত হন লাশটি শওকত আলীর। এদিকে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ তার লাশ হস্তান্তর করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো দাবী করা হয় তার পুত্র শওকত আলী একজন সাহসী ও প্রতিবাদী প্রকৃতির। সে দীর্ঘদিন পর মালয়েশিয়া থেকে চলে আসায় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের চোখের কাটা হয়ে যায়। এরই জের ধরে পুলিশের ছত্রছায়ায় অপহরণ ও খুনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ হতে ঈদগাঁও পুলিশের টু-আইসি জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে। এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেনি।
পাঠকের মতামত: