ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে পাউবো স্লুইচ গেইট প্রভাবশালীদের দখলে, ৫ হাজার চাষী ক্ষতিগ্রস্থ

ৃুসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও :::

ককসবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও চৌফলদণ্ডী,পোকখালী,ইসলামপুর ও গোমাতলী মৌজার স্লুইচ গেইট গুলি কৃষকদের কোন কাজে আসছেনা। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এর কোন নিয়ন্ত্রণ নাই। উলেখিত এলাকার প্রভাবশালীরা তাদের সুবিধার্থে ¯ুইচ গেইট গুলো ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ করে জবর দখল করে বসেছে। ফলে কৃষকর লবণ ও মৎস্য চাষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশংকা করছেন। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে আবারো ক্ষতবিক্ষত হয়ে একের পর এক সর্বশান্ত হচ্ছে। তাদের জানমাল রক্ষায় সেই সময়ের সরকার আশির দশকের শেষে বন্যা প্রতিরোধ বেড়িবাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা নেয়। উক্ত উপকুলীয় এলাকায় ককসবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ববধানে নব্বই দশকে এ বেড়িবাঁধ নির্মাণশেষ হয়। গত কয়েক দশক ধরে বৃহত্তর ঈদগাঁওর উপকুলীয় এলাকা তথা ইসলামপুর,গোমাতলী,পোকখালী,চৌফলদণ্ডীর প্রায় শত শত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। সেই সাথে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন এবং শুস্ক মৌসুমে লবণ চাষের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ¯ুইচ গেইট নির্মাণ করা হয়। এ সকল ¯ুইচ গেইট নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়োগ করা হয় একজন (খালাসি) শ্রমিক এবং সংলগ্ন এলাকায় তাদের জন্য নির্মাণ করা হয় শ্রমিক থাকার জন্য খালাসি শেড। কৃষকদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে ¯ুইচ গেইট নিয়ন্ত্রীত হয় এবং প্রয়োজন মত পানি নিস্কাশনের মাধ্যমে লবণ ও মৎস্য চাষ করা হত। কিন্তু উলেখিত এলাকায় নব্বই দশকের পর হতে ঐ ¯ইচ গেইট গুলি নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাতে চলে যায়। সেই থেকে এলাকার এক শ্রেণীর টাউট ও প্রভাবশালী এ সকল ¯ুইচ গেইট গুলো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে। ফলে সংশিষ্ট এলাকার কৃষকদের জন্য ¯ইচ গেইট গুলি চাষাবাদের কাজে সুবিধার পরিবর্তে মরণ ফাঁদ পরিণত হয়েছে। সংশিষ্ট সূত্র মতে কয়েক বছর পূর্বে পানি ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সুবিধাভোগী জনগণকে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু এই পরিকল্পনা আদৌ বাস্তবায়িত হয়নি। প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছে এসব ¯ুইচ গেইট।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোমাতলী এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তৈরির সময় কৃষকদের সুবিধার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোটি টাকা ব্যায়ে যে ¯ুইচ গেইট নির্মাণ করেছে তা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে কৃষি ব্যবস্থা উন্নয়নে তেমন কোন প্রভাব ফেলছেনা। তাছাড়া যে তত্বাবধায়ক (খালাসি) উপরোক্ত ¯ুইচ গেইট দেখভাল করে তারও কোন হদিস নেই। স্থানীয় কৃষক কামাল, রহিম,শাহাব উদ্দিন জানান, উপকুলীয় এলাকর া প্রায় ১০/১২টি ¯ুইচ গেইট এখন অকেজো। এসব গেইট দিয়ে ঠিকমত পানি উঠানামা করা যায়না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ৫ হাজার লবণ ও মৎস্য চাষী সময়মত পানি নিস্কাশন করতে না পারলে তাদের চরম ক্ষতি হবে। বর্তমানে এসব এলাকার অধিকাংশ ¯ুইচ গেইট ঢাকনা,দরজা,হ্যান্ডেল,গিয়ার সব কিছু অকেজো অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জবর দখলকারীরা গোমাতলীর ৩টি ¯ুইচ গেইট দীর্ঘদিন ধরে জবর দখল করে রেখেছে। জেলা প্রশাসক ও ককসবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ব্যাপারে উদাসীন থাকায় একের পর এক ¯ুইচ গেইট বন্ধ হয়ে জবর দখল হয়ে আছে। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে চিংড়ি চাষ ও লবণ উৎপাদন। সংশিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে নজরদারী জোরদার করলে উলেখিত এলাকার প্রায় ৫ হাজার কৃষক তাদের চাষবাদের প্রাণ ফিরে পাবে।

পাঠকের মতামত: