নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈদগাঁও :: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ঈদগাঁওবাসী। এ আতঙ্কের মধ্যেও গত কদিন ধরে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে ঈদগাঁও বাজারসহ উপবাজার সমুহে ভীড় করেছে লোকজন। যার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই ভয়ে লোকজন এখন বাজারমুখী। গতকদিন ধরে বাজারে মানুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষনীয়। বাজারে গিয়েই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করছেন না লোকজন। দ্রুতসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনে ফিরছেন বাড়িতে। প্রায় পণ্যেই তাঁদের অতিরিক্ত দাম দিতে হচ্ছে।
ঈদগাঁওর মাছ ও তরকারী বাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ঘুরে দেখা যায়,সবাই চাল,ডাল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বিগত চারদিন পূর্বে ৩৫/৪০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করা পেঁয়াজ বর্তমানে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত হারে বেড়েছে চালের দাম। প্রতিবস্তায় ৩/৪শত টাকা বৃদ্বি পেয়েছে এমনটি জানায় হতাশ কন্ঠে ঈদগাঁও বাজারের চাউল ব্যবসায়ী আহমদ ছৈয়দ। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীক জীবনে এই ধরনের চালের দামবৃদ্বি আর কখনো শুনিনি। দিনে এনে দিনে খায় এমন লোকজনরা খোলা বাজারে চাল কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে। তবে কাঁচা মরিচ, গাজর, চিচিঙ্গা,পেঁপে,ঢেড়স,ক্ষীরা,দেশী আলুসহ প্রায় সব ধরনের সবজি কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫টাকা বেড়েছে। মুরগির বাজারে প্রতি কেজি পোল্ট্রি বিক্রি করা হয় ১৩০/১৩৫,পাকিস্তানি মুরগী ২৩০ টাকা, দেশী ৩৮০ টাকায় বিক্রি করছে। তবে বাজারে রসুন ১৫০/৬০/৮০ টাকা বিক্রি করছে। মসুর ডাল চিকন কেজি ১২০ আর মোটা ৬০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সচেতন লোকজনসহ ক্রেতারা জানান,একদিকে করোনা ভাইরাস আতংক,অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেমুল্যের দ্বিগুন দামে হিমশিম খাচ্ছে সাধারন মানুষ। কতিপয় ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিষয়ে নেই কোন নজরদারী। অতিসত্তর তদন্ত পূর্বক অভিযান পরিচালনার দাবী তাদের।
পাঠকের মতামত: