মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::
কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওতে ইট ভাঁটায় অবাধে বনের কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব শুরু হয়েছে। সদ্য শুরু হওয়া ইট পোড়ানো মৌসুমে ইট ভাটা মালিকরা সামাজিক বনায়ন ও রিজার্ভ বনের মূল্যবান কাঠ রাত-দিন পুড়িয়ে ইট তৈরি করছে দেদারছে। এর ফলে বন-পাহাড় ও বনজসম্পদ ধ্বংস হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে ট্রাক, ড্যাম্পার ও চান্দেরগাড়ী ভর্তি কাঠ বন থেকে সংগ্রহ করে ডিসি সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলেও পুলিশ প্রশাসন রয়েছে নিরব দর্শকের ভূমিকায়। ফলে ইট ভাটার মালিকরাও তোয়াক্কা না করে দিনে-রাতে ইট ভাটার পাশর্^বর্তী স্থানে স্তুপাকারে জমা করে রাখে। আবার রাতের আঁধারেই কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব চলতেই দেখা যায়। কাঠ পোড়ানো নিষিদ্ধ হলেও আইনের তোয়াক্কা না করে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর এতে পরো ইন্ধন দিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু বনকর্মকর্তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁও’র চৌফলদন্ডীতে ১টি, জালালাবাদে ২টি ও ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নে ৩টি ইট ভাটায় বিগত পক্ষকাল আগে থেকেই কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় ও দুরবর্তী বিভিন্ন বন থেকে কাঠ চোরেরা এসব কাঠ কেটে ইট ভাটায় সরবরাহ করছে। কাঠ চোর সিন্ডিকেট থেকে কাঠ সরবরাহ নিয়ে ভাটা মালিকরা বিভিন্ন গোপন স্থানে এসব কাঠ মজুদ করে রাতের আধারে দ্রুতগামী ডাম্পারযোগে ভাটায় সরবরাহ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, ঈদগাঁও বাস স্টেশনের পূর্ব পার্শ্বে ১টি, ঈদগাঁও বাজার সংলগ্ন জাগির পাড়ায় ১টি, মেহের ঘোনায় ১টি, ভোমরিয়াঘোনায় ১টি, জালাবাবাদ ফরাজী পাড়ায় ২টি ও চৌফলদন্ডীতে ২টিসহ প্রায় ১ ডজন অবৈধ কাঠের ডিপুতে এখন মজুদ রয়েছে লক্ষ লক্ষ ঘণ ফুট চোরাই কাঠ। এ সব কাঠ সরবরাহ করা হচ্ছে ইট ভাটায়। আর এতে ইন্ধন দিচ্ছে বনকর্তারা। ইট ভাটায় এভাবে কাঠ পোড়ানোর ব্যপারে কক্সবাজার (উত্তর) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলেন, যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করে। এসব ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পাঠকের মতামত: