এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::
চলতি ঈদ মৌসুমে কক্সবাজার সদরের ব্যস্ত বহুল বাণিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁওর মহাসড়ক সহ উপসড়ক জুড়েই অসহনীয় যানজটের কবলে পড়েছে ঈদমুখী মানুষরা। যাতে করে বিপাকে পড়েছে বেড়ানোর লক্ষে বের হওয়া লোকজন। সে সাথে আটকা পড়েছে ঈদ শেষে আগেভাগে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া মানুষরাও। ২৩ আগষ্ট পড়ন্ত বিকেলের ঈদগাঁওর মহাসড়কে এমন চিত্র চোখে পড়ে। চট্রগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসষ্টেশন পয়েন্টে দুদিকে ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। স্থানীয় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ থাকার পরেও যানজট নিয়ন্ত্রন করতে হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে মহাসড়কে দুরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি তিন চাকার গাড়ী গ্রামীন সড়ক পেরিয়ে মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে যাতায়াত করার ফলে এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে জানান বহু পথচারীরা। চলতি মৌসুমে যত্রতত্র স্থানে বাড়ছে যানজট। সাধারণ রিক্সার পাশাপাশি যন্ত্রচালিত এসব লাইসেন্সবিহীন তিন চাকার যানবাহন চলছে সমানতালে। আবার তাতেও অদক্ষ ও আনাড়ী চালক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এগুলোর সঠিক সংখ্যা জানাও দুষ্কর। কিন্তু নীতিমালার সীমাবদ্ধতার অজুহাতে এগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়দায়িত্ব নিতে চায়না সংশ্লিষ্টরা। কোন রকম ভয়, দ্বিধা-দ্বন্ধ ছাড়া রাস্তায় দূরন্ত বেগে ছুটে যাওয়া ব্যাটারী চালিত এসব যানবাহনে বাড়ছে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা। এসব ব্যাটারী চালিত গাড়ী ব্যস্ত সড়কে চলে অনেকটা দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। বিদ্যুৎ চালিত অটো রিক্সার পাল যেন বৃহত্তর এলাকার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের আনাছে কানাছে। বাস স্টেশনসহ বাজারের যত্রতত্র স্থানে তিন চাকার যানবাহনের কারনে একের পর এক যানজট লেগেই থাকে। যাতে করে অসহায় লোকজনের দুর্ভোগ আর দূর্গতি যেন চোখে পড়ার মত। তবে সাধারণ ঈদমুখী মানুষরা জানান, এ যানবাহনের কারনে যানজট ফের সৃষ্টি হওয়ায় চলতি ঈদ মৌসুমে মহাসড়ক বা বাজারে পায়ে হেটে চলা চল অনেকটা দায় হয়ে পড়েছে। ঈদগাঁওতে এসব গাড়ী মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারনে যানজটের নাকালে অতিষ্ট সর্বশ্রনী পেশার লোকজন। আবার এসব যানবাহনের চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিতেও ভুল করছেনা।
পাঠকের মতামত: