সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন ইসলামপুর বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে এক শ্রেণির কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেট বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে রাতদিন পাচার করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে সংরক্ষিত বনাঞ্চল অদূর ভবিষ্যতে শূন্য হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ইসলামপুর এলাকা জুড়ে অবৈধ কাঠ পাচার সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত সামাজিক বনায়ন থেকে মূল্যবান গামারি, আকাশমণি ও গর্জন গাছ কেটে পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থাপিত লাইসেন্সবিহীন অবৈধ করাতকলে পৌঁছে দিচ্ছে। এক শ্রেনির অসাধু এবং পরিবেশ বিধ্বংসী বন কর্তাদের ম্যানেজ করে এরা বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে। অভিযোগ রয়েছে দিন দুপুরে এসব কাঠ ভর্তি চান্দেরগাড়ী, ডাম্পার, ট্রাক মহাসড়ক হয়ে পাচার হলেও সংশ্লিষ্ট বনকর্মকর্তারা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে আসছে। ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক পথে, গজালিয়া বিট অফিসের আওতাধীন কাঞ্চন মালা রাস্তা দিয়ে এবং নাপিতখালী চাকার দোকান, জুমনগর সড়ক দিয়ে বিভিন্ন স’মিলে পাচার হয় বলে জানান স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে তাদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত সংঘবদ্ধ গাছ খেকোরা সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করে দিলেও ঘুম ভাঙ্গছেনা বনরক্ষক নামের ভক্ষকদের। গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় চাকার দোকান নামক স্থান থেকে পাচার কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিশালাকার একটি গর্জন গাছের ৬টি টুকরো জব্দ করলেও পাচারকারী স্থানীয় নুরুল হুদা ও শামসুল আলমকে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছুদিন কাঠ পাচার বন্ধ থাকলেও বর্তমানে ঈদগাঁওর বিভিন্ন স্থান থেকে গাছ পাচার হয়ে আসছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এছাড়া করাতকল মালিক, সাগরের চলাচলরত ফিশিং ট্রলার মেরামতের কাজেও ব্যবহার হচ্ছে মাদার ট্রি। স্থানীয় প্রশাসন, বনকর্তাদের মাসিক মাসোহারা দিয়ে আলমাছিয়া সড়ক, কবি নুরুল হুদা সড়ক ও বাজারের ডি সি সড়কের উপর দিয়ে নির্বিঘেœœ এসব কাঠ পৌঁছে যাচ্ছে করাতকল ও বোট মালিকদের কাছে। একাধিক সূত্রে জানা যায়, ইট ভাটার মৌসুমকে সামনে রেখে বনাঞ্চলের কাঠের স্তুপ করে রাখছে মালিকরা। গর্জন গাছ পাচারের ব্যাপারে নাপিতখালী বিট কর্মকর্তা আজহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিশালাকার একটি গর্জন গাছের টুকরো জব্দ করেন বলে জানালেও পাচারকারীরা পালিয়ে যায় বলে স্বীকার করেন। বর্তমানে গাছগুলো তাদের হেফাজতে রয়েছে।
পাঠকের মতামত: