ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

ইসলামপুরে মদ জুয়ার আসর বন্দের দাবীতে প্রতিবাদ সভা

সেলিম উদ্দীন (ঈদগাঁও) কক্সবাজার,প্রতিনিধি::islampor pic

কক্সবাজার সদরের ইসলামপুরে সরকারী বন বিভাগের জায়গা অবৈধ দখল করে মদ জুয়ার আস্তানা গড়ে তোলার প্রতিবাদ ও নিরীহ জনগনের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নতুন অফিস বাজারে শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগনের ব্যানারে অনুষ্টিত বিক্ষোভ মিছিলটি মহাসড়ক ঘুরে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ষ্টেশনস্থ দাদা মার্কেট চত্বরে অনুষ্টিত প্রতিবাদ সমাবেশে ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এম শাহজাহান চৌধুরী, ইউপি মেম্বার ইদ্রিস রানা, ফুলছড়ি দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাও: ছাবের আহমদ, ইসলামপুর আইডিয়াল পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্টাতা সভাপতি এড. জসিম উদ্দীন, সদর আওয়ামীলীগ নেতা ওসমান গনি, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নুরুল আবছার, মিথ্যা মামলার আসামী ছরওয়ার,বশির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা দীর্ঘদিন বাজার এর উত্তর পার্শ্বে (ছাবের মৌলভীর গর্জন গাছ তলা) দুইটি বাসা নির্মাণ করে সেখানে মদ ও জুয়ার আসর বন্দ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়ে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচীর মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষনা করেন।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার দুপরে  দুইটি মদ জুয়ার আস্তানা গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ ও হামলার ঘটনায় ৩ জন মারাতœক আহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় নিরীহ ১৮ জনকে আসামী করা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীরা জানায়, শিয়াপাড়ার ইমাম শরীফ ,জসিম, পেঠান, এনাম, রশিদ, ফারুক, মিনহাজ, হেলাল,সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে ঘটনাটি ঘটে। দীর্ঘদিন বাজার এর উত্তর পার্শ্বে (ছাবের মৌলভীর গর্জন গাছ তলা) দুইটি বাসা নির্মাণ করে সেখানে মদ ও জুয়ার আসর বসাতো চিহ্নিত এই চক্র। ঐদিন নতুন অফিস ও কৈলাশেরঘোনা এলাকার অর্ধশতাধিক জনতা ওই আসর ভেঙে দেয়। আস্তানা গুড়িয়ে দেয়ার পরপরই ক্ষুব্দ জুয়াড়ীরা নতুন অফিস বাজারে গিয়ে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটায়। তারা আরো জানায়, ফুলছড়ি শিয়াপাড়ার ইমাম শরীফের নেতৃত্বে নিয়মিত জুয়া ও মদের আসর বসানো হতো ওই দুইটি বাড়ীতে। বিক্রি হতো ইয়াবাসহ বিভিন্ন মামকদ্রব্য। তাতে জড়িত ছিল স্থানীয় জুমনগর এলাকার চিহ্নিত ১০/১২ জন ওঠতি বয়সী যুবক। আনাগুনা ছিল বিভিন্ন পুরাতন মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ীদের। আসর দুইটি আরাকান সড়কের পাশে হওয়ায় খুব সহজেই চলতো মাদকদ্রব্যের বিকিকিনি। দূর দূরান্ত থেকে যেতো জুয়াড়ী ও মাদকসেবীরা। আসরে নেতৃত্বদানীরারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস করতো না কেউ। এছাড়া যারা মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের উপর নেমে আসে নির্যাতন, হুমকী, মিথ্যা মামলা ও হয়রানী। চিহ্নিত এই দুইটি ঘরে শুধু মদ ও জুয়ার আসর বসতোনা। এখানে অনেক তরুনী ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। এখান থেকে নিয়ন্ত্রিন হতো ডাকাতি, চুরি, অপহরণসহ নানা অপরাধকর্ম। তারা অবিলম্বে চিহ্নিত মাদক ও জুয়ার আস্তানা বন্দ ও নিরীহ লোকদের বিরুদ্বে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

পাঠকের মতামত: