ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে চকরিয়া পৌরসভার ৭৫৯ জেলেপরিবার মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ

চকরিয়া পৌরসভার সরকারি তালিকাভুক্ত ৭৫৯টি জেলে পরিবারের ভিজিএফ চাল বিতরণ করছেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  সরকারি নির্দেশনার আলোকে মা ইলিশসহ দেশের সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও মজুদ সংরক্ষণ এবং সহনশীল মাছ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য মাছ শিকার বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে বঙ্গোপসাগরে অর্থনৈতিক এলাকায় সব যান্ত্রিক অযান্ত্রিক নৌযান এবং বাণিজ্যিক ট্রলার দিয়ে মাছ আহরণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে সরকারের।

এদিকে করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রশাসনের লকডাউন কার্যক্রম, অন্যদিকে সাগরে ৬৫ দিনের মাছ আহরণ বন্ধের কারণে জীবিকা হারানো জেলে পরিবার গুলোতে শুরু হয়েছে চরম হাহাকার। দেশের প্রতিটি জনপদের মতো কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা এলাকার হতদরিদ্র জেলে পরিবার গুলোতেও পড়েছে জীবিকার উৎস হারানো দুর্দিন।

আশার কথা হলো: চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সরকারি তালিকাভুক্ত ৭৫৯টি হতদরিদ্র জেলে পরিবারের এই দুর্দিনে পাশে থেকে অভাব অনটনের থাকা পরিবার গুলোর মুখে হাসি ফুটাতে সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে হাজির হয়েছেন চকরিয়া পৌরসভার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মেয়র আলমগীর চৌধুরী।

মেয়র আলমগীর চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভার জীবিকা হারানো জেলে পরিবার গুলোর দুর্দিনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে। তাঁর আবেদনে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন চকরিয়া পৌরসভার সরকারি তালিকাভুক্ত ৭৫৯টি জেলে পরিবারের জন্য বিশেষ ভিজিএফ কর্মসুচির আওতায় চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। সোমবার ১৫ জুন চকরিয়া পৌরসভার পাশে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ স্কুল মিলনায়তন থেকে তালিকাভুক্ত ৭৫৯টি জেলে পরিবারের মাঝে (প্রতি পরিবারকে ৫৬ কেজি করে) ভিজিএফ চাল বিতরণ করেছেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, সরকারি নির্দেশনার আলোকে বর্তমানে সাগরে মা ইলিশসহ সবধরণের মাছ আহরণ বন্ধ রয়েছে। এদিকে করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রশাসনের লকডাউন কার্যক্রম, অন্যদিকে সাগরে মাছ আহরণ বন্ধের কারণে চকরিয়া পৌরসভা এলাকার জেলে পরিবার গুলোতেও পড়েছে জীবিকার উৎস হারানো দুর্দিন।

তিনি বলেন, জীবিকা হারানো জেলে পরিবার গুলোর দুর্দিনের বিষয়টি জানানো হলে ইতোমধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন চকরিয়া পৌরসভার সরকারি তালিকাভুক্ত ৭৫৯টি জেলে পরিবারের জন্য বিশেষ ভিজিএফ কর্মসুচির আওতায় চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। সোমবার ১৫ জুন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ স্কুল মিলনায়তন থেকে তালিকাভুক্ত ৭৫৯টি জেলে পরিবারের মাঝে (প্রতি পরিবারকে ৫৬ কেজি করে) ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে। ##

পাঠকের মতামত: