কক্সবাজার প্রতিনিধি :
আজ কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। আজ শনিবার সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহন। দুটি প্যানেলে ৩৪ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারনের ৬৫২ জন আইনজীবী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ৭টি স¤পাদকীয় পদ ও ৯টি সাধারণ সদস্যপদে ভোট গ্রহন করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট শাহাজাহান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন শেষ করার সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। আজ রাত ৮ টার মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করা হবে।
নির্বাচনে লড়ছে একদিকে মুক্তিযুদ্ধেরও স্বপক্ষের শক্তি অন্যদিকে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী আইনজীবিদের দল। তবে এবারের দুই প্যানেলই রয়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী। প্যানেল সাজানো হয়েছে তারুন্যকে প্রাধন্য দিয়ে। দুই প্যানেলের শক্তিশালী হওয়ায় সম্ভাব্য জয়ী হিসেবে কাউকেই এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ভোটারদের মতে এবারের লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে। তবে ব্যবধান গড়ে দিবে তরুন আইনজীবিরা।বিষয়টি মাথায় রেখে প্রার্থীরাও যে যার মতো কৌশলে নবীন ভোটার টানতে ব্যস্ত।
তরুণ আইনজীবী মোবারক হোসাইন জানান, চেহারা বা প্যানেল বিবেচনায় নয়, দক্ষতা-যোগ্যতা বিবেচনা করে আইনজীবীরা ভোট দেবেন। তিনি মনে করেন, এবারের নির্বাচনে দুই প্যানেলই শক্তিশালী প্রার্থী নিশ্চিত করায় কাউকে হেলা আইনজীবীরা মনে করেন- কর্মদক্ষ, সাহসী, জুনিয়র আইনজীবীদের চেম্বার সংকট নিরসনে নতুন ভবন নির্মানে, জমির লীজ ডীড় স¤পাদন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত পাঁচ কোটি টাকা আনয়ন, বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট এক শ্রেণীর কর্মচারীদের দূর্নীতির লাগাম টেনে ধরা, বার ও বেঞ্চের মর্যাদাপূর্ণ স¤পর্ক সমুন্নত রেখে বিচারপ্রার্থী অসহায় জনসাধারনের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পরীক্ষিত আইনজীবীদের নির্বাচিত করা দরকার।
আইনজীবি সমিতি সূত্র জানায়, সভাপতি পদে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সভাপতি প্রার্থী এড. মোহাম্মদ ইসহাক খুবই সহজ সরল ও উদার মনের মানুষ। তিনি বর্তমান সরকারের জিপি। আইন পেশায় ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কোন ক্ষতি করেননি। পারলে উপকার করেছেন। ব্যক্তিগত ইমেজও রয়েছে তার। গতবারের নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়ায়ে তিনি যৌথ সভাপতি হন। এবারও তাকে সভাপতি নির্বাচিত করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে বিএনপি ঘরনা থেকে সভাপতি প্রার্থী এসএম নুরুল ইসলাম নম্র-ভদ্র ও সজ্জন লোক হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে ৬৫২ জন ভোটারের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার ভোটার বেশি। নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া আইনজীবীদের মাঝেও বেশীরভাগ তাদের ভোট। তাছাড়া গতবারের নির্বাচনে প্রার্থীতা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি থাকলেও এবার তাদের মাঝে চমৎকার বোঝাপড়া রয়েছে। গুনে গুনে সব ভোট নিজেদের বাক্সে ফেলার ফন্দি করছে নেতারা। সে হিসেবে সভাপতি পদে এসএম নুরুল ইসলামের জয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না।
ভোটারদের বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে, বিএনপি-জামায়াতের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আখতার উদ্দিন হেলালী সব শ্রেনীর আইনজীবীদের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তিনি প্রবীন আইনজীবি হলেও নবীনদের সাথে তার সম্পর্কটা অতুলনীয়। ১৯৯৬ সাল থেকে অদ্যবধি তিনি জনপ্রিয় একজন আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। পেশাগত জীবনে জুনিয়ার-সিনিয়র সমন্বয় করে চলেছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে জিয়া উদ্দিন আহমদ ভোটের হিসেব নিকেশ পাল্টে দিতে পারেন বলে ধারণা ভোটারদের। তার বাবা প্রফেসর নুর আহমদ এডভোকেট আদালত অঙ্গনের পরিচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তি। বাবার ইমেজকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মাঝে সুন্দর অবস্থান তৈরী করেছেন । তরুণ আইনজীবীদের একটা অংশ জিয়া উদ্দিন আহমদের জন্য কোমর বেঁধে কাজ করছেন। নিজেও রাত দিন প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের কাছে টানতে চেষ্টা করছেন। জিয়া উদ্দিন আহমদ ২০০২ সাল থেকে তিনি আইন পেশায় জড়িত। তিনি ২০১২ সালে আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর আগে আপ্যায়ন ও সদস্য ছিলেন তিনি। পেশাগত জীবনে তিনি অনেকটা ক্লিন ইমেজের লোক হিসেবে পরিচিত। তবে, সব হিসেব পাল্টাবে ভোটাররা- এমনটি ধারণা বিশ্লেষকদের।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত প্যানেল থেকে সভাপতি পদে মোহাম্মদ ইছহাক-১ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিয়া উদ্দিন আহমদ লড়ছেন। সহ-সভাপতি পদে নুরুল আমিন ও মোহাম্মদ জাকারিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) আবদুল শুক্কুর, সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) রাহামত উল্লাহ, পাঠাগার সম্পাদক আবুল হোছন এবং আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এ.বি.এম মহিউদ্দীন।
এই প্যানেলের সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- পীযুষ কান্তি চৌধুরী, আমজাদ হোসেন, আবুল কাশেম-২, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ নুরুল আজিম, খাইরুল আমিন, সোমেন দেব, মীরাজুল হক চৌধুরী ও লিপিকা পাল।
অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী, ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা আইনজীবীদের মনোনীত প্যানেলে সভাপতি পদে এস.এম নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আখতার উদ্দিন হেলালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই প্যানেলের সহ-সভাপতি সাদেক উল্লাহ ও রমিজ আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) মোহাম্মদ এনামুল হক সিকদার, পাঠাগার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুল ইসলাম এবং আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছৈয়দ আলম।
সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থীরা হচ্ছেন-আবুল কালাম ছিদ্দিকী, মোহাম্মদ আবুল আলা, সব্বির আহমদ, মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন ফারুকী, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, ছৈয়দ আলম, মোহাম্মদ গোলাম ফারুক খান, এ.এইচ.এম শাহজাহান এবং মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম (টিপু)।
প্রকাশ:
২০১৭-০২-২৫ ০৭:১০:৩৫
আপডেট:২০১৭-০২-২৫ ০৭:১০:৩৫
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সাথে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ শিক্ষকদের মতবিনিময়
- নিপীড়িত গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য জামায়াত কর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে -আবদুল্লাহ আল ফারুক
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাতে সালাউদ্দিন আহমদ
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার খুনের ঘটনায় দুইটি মামলা
- চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে স্বামী-স্ত্রীসহ আহত ৩
- ডুলাহাজারার সংরক্ষিত বনে ডাকাতের আস্তানা, সন্ধ্যার পর শুরু হয় লুটতরাজ
- চকরিয়ায় অবৈধ বালু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
- চকরিয়ায় টেন্ডার ছাড়াই সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বিক্রির মহোৎসব
- সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যা ও ডাকাতি,খুন,গুমের প্রতিবাদে খুটাখালী বহলতলীবাসী
- লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ৬ সন্ত্রাসীকে আটক করেন সেনাবাহিনী
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলিতে লেফটেন্যান্ট তানজিম খুন, মায়ের আহাজারী, শোকের মাতম, জানাযা সম্পন্ন
- ডুলহাজারায় সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হলেন তরুণ সেনা কর্মকর্তা তানজিন
- লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ৬ সন্ত্রাসীকে আটক করেন সেনাবাহিনী
- চকরিয়ার যুবলীগ নেতা কছিরের রয়েছে সম্পদের পাহাড়
- ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
- চকরিয়ায় আ,লীগের প্রভাবে দখল হওয়া বাজার ফিরে পেতে চায় ব্যবসায়ীরা
- সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যা ও ডাকাতি,খুন,গুমের প্রতিবাদে খুটাখালী বহলতলীবাসী
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- ডুলাহাজারার সংরক্ষিত বনে ডাকাতের আস্তানা, সন্ধ্যার পর শুরু হয় লুটতরাজ
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাতে সালাউদ্দিন আহমদ
পাঠকের মতামত: