এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :: “বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আইনশৃংখলা পরিস্থতি স্বাভাবিক ও অপরাধ নির্মূলে থানা পুলিশের আয়োজনে চকরিয়া পৌরসভায় বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। এ বিট পুলিশিং কার্যালয়ের আওতাধীন এলাকা হিসেবে থাকবে চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর, ২ নম্বর ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড।
শনিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে চকরিয়া পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডস্থ তরছপাড়া ষ্টেশনে এ বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী। এতে বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধক ছিলেন কক্সবাজার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো: তফিকুল আলম।
চকরিয়া কমিউনিটি পুলিশিং নেতা রাজিবুল মোস্তফা রাজিবের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া পৌরসভা (১,২ ও ৩) নম্বর ওয়ার্ডের বিট পুলিশিং অফিসার কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা এইচ এম তাজ উদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভা ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: নুরুস শফি, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাশেদা বেগম, চকরিয়া পৌরসভা ৩নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইফতেখারুল ইসলাম হানিফ, ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম হিমু, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভার সচিব (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) মাসউদ মোর্শেদ, চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার (এস আই) রাজিব চন্দ্র সরকার, সহকারি বিট অফিসার (এএসআই) উত্তম কুমার ভৌমিক, কামাল হোসেন, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাসহ এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক কক্সবাজার সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো: তফিকুল আলম বক্তব্যে বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে মানুষের সমস্যা জানার সঙ্গে সঙ্গে সুনির্দিষ্ট বিট পুলিশিং অফিসার তা নিরসন করবেন। আর এ বিট পুলিশ কার্যক্রমের সেবা নিশ্চিতে এবং এলাকার অপরাধ প্রবণতা নির্মূলে জনগণের সহযোগিতার বিকল্প নেই। মানুষকে এখন আগের মতো ভোগান্তি বা হয়রানির শিকার হতে হবে না।
পুলিশ এখন আগের অবস্থানে নেই, পুলিশের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। থানায় মামলা বা জিডি করতে কোন ধরণের টাকা লাগে না। মানুষের সহযোগিতা ছাড়া শুধু আইন প্রয়োগ করে মাদক ও সন্ত্রাস দমন করা যাবে না। মাদক, চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাস ও ইভটিজিং মতো অপরাধ সম্পর্কে তথ্য দিন, পুলিশ আপনাদের পাশে থাকবে। যারা মাদক, চুরি-ডাকাতি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকবে তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে এবং অপরাধী যতো বড় শক্তিশালী হোক কোন ধরণের ছাড় দেয়া হবে না। জনগণ পুলিশকে আন্তরিক ভাবে সহযোগীতা করলে অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশকে সহযোগীতা করুন, তাহলে এলাকা থেকে সবধরণের চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং মতো অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব।
প্রতিটি বাবা-মা’কে তাদের সন্তানের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কেন না তাদের সন্তানেরা কখন কোথায় যায়, কার সাথে উঠাবসা ও মেলামেশা করে তা জানা অবশ্যই দরকার। তাই অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান কোন সন্তান যেন বিপদগামী না হয় এবং অপরাধ নির্মূলে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সোচ্চার ভূমিকা রাখার আহবান জানানো হয়।
পাঠকের মতামত: