ঢাকা,সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে -বিজিবির মহাপরিচালক

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ :::

পাশ^বর্তীদেশ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্তের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে। বিজিবির তর্কতার থারকার কারণে অনেকেই প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ব্যবপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হাসেনbg

গতকাল ২৫ নভেম্বর শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের মালঞ্চ রেস্ট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন। বাংলাদেশের সীমান্তের ৬৩ কিলোমিটার জল সীমান্তসহ ২৭১ কিলোমিটার সবগুলো এলাকা সিলগালাভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে টহল জোরদার এলাকা বাদে যেখান থেকে সুযোগ পায় বিপদাপন্ন রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করেছে এটি অস্বীকার করার অবকাশ নেই। তিনি আরো বলেন, যেসব এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটছে সেসব এলাকা চিহ্নিত করে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হলে লোকাল কমিউনিটি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। এবং কী পরিমাণ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে তার পরিসংখ্যান বিজিবির কাছে নেই জানান। এসময় মিয়ানমারের এক গণমাধ্যম বাংলাদেশ থেকে পার হওয়া সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় গত ৯ অক্টোবর বিজিপি চৌকিতে হামলার কথা উল্লেখ করেছে বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসীদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সুতরাং এখানে দেশী-বিদেশী কোন সন্ত্রাসীকে অপতৎপরতা চালানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা কারো শত্রু নয়, সীমান্তের সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম স¤পর্ক রয়েছে। হয়তো তাদের বিশ্বাসে ঘাটতি   রয়েছে, তাই এমনটি চিন্তা করছে। আমরা ইতিমধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা গুলিবিদ্ধ দুই অপরাধীকে ধরে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি চট্টগ্রাম রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরিদ হাসান, কক্সবাজার সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার কর্নেল এম এম আনিসুর রহমান, টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিউল আলম প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: