ঢাকা,মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

১৫ বছরে ব্যাংক খাতে লোপাট ৯২ হাজার কোটি টাকা -সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক :: ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে লোপাট হয়েছে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ঋণ, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ঋণ, অর্থ লোপাটসহ নানান ধরনের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে যে অনিয়মগুলো হয়, সেগুলো অফিসিয়াল সূত্রে পাওয়া যায় না। সেগুলো সংবাদমাধ্যমে আসে। গণমাধ্যমকর্মীরা সেগুলো হয়তো অফিসিয়াল সূত্রেই আনেন। এগুলোকে কম্পাইল করেছি দেখার জন্য। ২০০৮-২৩ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যমে ২৪টি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এসব ঘটনায় ৯২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন টাকা বা ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ বা অপচয় হয়েছে। বিশাল এ অর্থ দিয়ে কী হতে পারে সেটা আপনারা হিসাব করতে পারেন। আপনারা হিসাব করতে পারেন আমাদের রাজস্ব ঘাটতি কত। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কত ব্যয় হচ্ছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে কত ব্যয় করছি। এই পরিমাণ টাকা দিয়ে আমরা কী করতে পারতাম।

তিনি আরও বলেন, এ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে। ব্যাংকে যে টাকা, সেটি জনগণের টাকা। সেটা কীভাবে ব্যয় হচ্ছে তা চিন্তার বিষয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং খাতে নিয়মকানুন বাস্তবায়ন ও সংস্কার একেবারেই জরুরি হয়ে পড়েছে।

ফাহমিদা বলেন, নিয়ম-কানুনের অভাব নাই। অনেক ভালো নীতিমালা আছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হয় না। পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ হয় না। যারা ঋণখেলাপির সঙ্গে জড়িত তারাই আবার নিয়ম করে দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে যে, ঋণ রি-শিডিউল করা যাবে। এরকম বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে শক্তিশালী কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও নীতিমালার বাস্তবায়ন দরকার।

এই টাকা কোথায় গেলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা তো আমরা জানি না এই টাকাটা কোথায় গেলো? হয়তো বা এটার কিছুটা অর্থনীতিতে এসেছে। সেটা কতটুকু ব্যয় হয়েছে। এটার তথ্যটা আমাদের জানা নাই।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, সংস্কার পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থনীতিতে ‍সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সহজ কাজ হবে না। কারণ কায়েমি স্বার্থগোষ্ঠী শক্তিশালী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

 

পাঠকের মতামত: