ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

সাফারি পার্ক সড়কে বালুর স্তুপ

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :
ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক সড়কে অবৈধ বালুর স্তুপে যান ও জন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এক প্রভাবশালীমহল। কলেজ গেইট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক সড়ক পর্যন্ত যাতায়তে মারাত্মক সমস্যা হয়েছে। এতে সড়ক দিয়ে পাকের্র আগত দর্শনার্থীসহ শতশত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এই বালুর স্তুপের কারণে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীরা জানান, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী লবণাক্ত খাল থেকে উত্তোলন হচ্ছে প্রতিদিন কয়েকশত ট্রাক বালু। স্থানীয় বালুরচর এলাকার মোঃ তজু মিয়ার পুত্র মোঃ ইউনুছের নেতৃত্বে একটি চক্র ট্রাক যোগে লবণাক্ত বালুগুলো প্রথমে সাফারি পার্কের সড়কে জমা করে। পরে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়। অনুমোদন বিহীন কাটাখালী খাল থেকে উত্তোলন করা বালুর ট্রাক চলাচলে চরম ভাবে নষ্ট হচ্ছে শান্তিরঘাট-ডাকবাংলা সড়ক। গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ সড়ক গুলো চলাচলালে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এদিকে ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘কলেজ গেইট ও কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে এই বালুর স্তুপে কয়েকটি দুর্ঘটনা সংঘটিত সহ চরমভাবে বিনষ্ট কচ্ছে কলেজের পরিবেশ। কলেজ সীমানা ঘেঁষে লবণাক্ত বালু রাখায় ছায়াযুক্ত চারাগাছ গুলো ঠিকমত বাড়তে সমস্যা হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের নিষেধ করেও কর্ণপাত না করায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছিল। তিনি জরুরি ভাবে অভিযান পরিচালনা করায় কিছুদিন বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে পড়ছে।’ বালু চক্রের প্রধান ইউনুছ বলেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নাই। এব্যাপারে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম জানান, ‘সড়ক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বালুর ব্যবসা পরিচালনা করার কোন অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। তবে ওখানে বালুর ব্যবসা পরিচালনার ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন আছে কিনা আমি জানি না।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুল ইসলাম বলেন, চলাচল সড়কে বালু রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন অনুমোদন দেওয়া হয় নাই। বিষয়টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: