ঢাকা,শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

শুরু হলো দেশের সবচেয়ে বড় কম্পিউটার মেলা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:qqq

শ্লোগানকে সামনে রেখে বড় পরিসরে দেশের বৃহত্তম কম্পিউটার মার্কেট রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সিটি সেন্টার (মাল্টিপ্ল্যান)শুরু হলো ৬দিন ব্যাপি ডিজিটাল আইসিটি মেলা। ৮ম বারের মতো ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১৬ (উইন্টার) নামের এ মেলা আজ ২২ ডিসেম্বর শুরু হলো এবং চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতি আয়োজিত এবারের মেলায় সাড়ে ৬ শতাধিক প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ প্রযুক্তির কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ তথ্যপ্রযুক্তির সর্বশেষ নানা পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবে। বাড়তি আয়োজনের পাশাপাশি থাকবে প্রযুক্তি পণ্যের উপর বিশেষ ছাড় ও উপহারের ছড়াছড়ি।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সিটি সেন্টার (মাল্টিপ্ল্যান)এ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হলো এই মেলা। উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি ।

বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন আইসিটি খাতে অনেক এগিয়ে গিয়েছে আমার মনে হয় বিশ্বের অনান্য দেশ বাংলাদেশের আইসিটি খাতকে অনুসরণ করতে পারে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আইসিটি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার েৈব্দশিক মুদ্রা অর্জন হবে বলে আমরা । আমি শুনেছি এই কম্পিউটার সিটি সেন্টার দেশের সবচেয়ে বড় আইটি মার্কেট এবং সবচেয়ে বড় আইটি মেলা হচ্ছে শুনে আমি মুগ্ধ হয়েছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে।

বঙ্গবন্ধু কন্যার যে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির স্বপ্ন তা বাস্তবায়নে আমরা আপনাদের সহোযোগিতা চায়। আমরা এক সাথে কাজ করলে আশা করি এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন সফল হবে।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, এফবিসিসিআই এর পরিচালক আবু মোতালেব, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আলী আশফাক,এইচপি বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার ইমরুল হাসান, স্মার্ট টেকনোলোজিস বাংলাদেশ লঃ ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম,ডেল বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার মোঃ আতিকুর রহমান সহ প্রমুখ।

কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও মেলার আহ্বায়ক তৌফিক এহ্সোন বলেন, প্রতিবারের চেয়ে এবার আরও বড় পরিসরে ও জাঁকজমকভাবে মেলা আয়োজন করা হয়েছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার এবং এর সুফল ছড়িয়ে দিয়ে, বহুল প্রত্যাশিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই নিয়মিত এ মেলার আয়োজন করা হয়।এক সাথে এতো প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহণ উপমহাদেশের বিরল ঘটনা বলে আমরা মনে করছি। এই মেলার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভুমিকা রাখতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেলায় বাংলাদেশের শীর্ষ আইসিটি পণ্য আমদানীকারক ও ব্যবসায়ীরা বিশ্বের মানসম্পন্ন ব্র্যান্ডের আধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। মেলা উপলক্ষে এবার বিশেষ আয়োজন হিসেবে রয়েছে- প্রযুক্তি পণ্যের উপর আকর্ষনীয় মূল্য ছাড় ও উপহার সামগ্রী, রয়েছে র্যা ফেল -ড্র এর মাধ্যমে আকর্ষনীয় পুরষ্কার, রক্তদান কর্মসূচী, এন্ট্রিপাশের সাথে ফ্রি মুভি দেখার সুব্যবস্থা, ফ্রি ইন্টারনেট, ওয়াই-ফাই, গেমিং জোন, ফটোগ্রাফি ও সেলফি প্রতিযোগীতা, শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, সিকিউরিটি সিস্টেম ও আধুনিক প্রযুক্তি পণ্যের প্রদর্শনী সহ নানা আয়োজন।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেছে এটিএন নিউজ। এছাড়া মেলার চতুর্থ দিনে (২৫ ডিসেম্বর ২০১৬) অনুষ্ঠিত হবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। মেলার শেষ দিনে দেওয়া হবে ক্রেষ্ট এবং থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আয়োজকেরা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারের মেলায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা পদ্ধতিতে সর্বাধুনিক ও সর্বশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং এর সুফল সম্পর্কে ধারণা দিতে মেলায় থাকবে নানা আয়োজন। মেলায় পরিদর্শনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে সু-ব্যবস্থা। ঢাকাসহ সারা দেশের যে কোন প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মেলার প্রবেশ ফ্রি করা হয়েছে। শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রদত্ত পরিচয়পত্র দিয়েই ছাত্র-ছাত্রীরা মেলা পরিদর্শন করতে পারবে। আগত শিশু ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হবে।

মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর- এইচপি, এসার, গিগাবাইট। মেলার ডায়মন্ড স্পন্সর- ডেল। মেলার গোল্ড স্পন্সর- আসুস, লেনেভো। মেলার স্পন্সর- ইসেট

মেলার প্রবেশ টিকেট মুল্যঃ ১০ টাকা । ৬ দিনব্যাপী এই মেলা চলবে সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ।

পাঠকের মতামত: