ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের পুষ্পমাল্য অর্পন

bsl-coxsbazarঅমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার জেলা।

রাত ১২টা ১টি মিনিটে প্রথমে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় ও পরে শহর ছাত্রলীগ সভাপতি এম এইচ তানিমের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগ,শহর ছাত্রলীগ,সদর উপজেলা ছাত্রলীগ,কক্সবাজার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।

এদিকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, “ছাত্রলীগ ইতিহাসের গৌরবময় সংগঠন, ছাত্রলীগ দেশের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় সবসময় ছিল, আজও এই নাড়ির টানে আমরা একুশের প্রথম প্রহর ছাত্রলীগের ভাই,বোনদের নিয়ে ছুটে এসেছি মহান মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।”

শহর সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এইচ তানিম বলেন, “একুশ আমার অহংকার, মাতৃভাষা বাংলা আমার সাহস। মায়ের ভাষায় কথা বলা গৌরবের। কিন্তু দেশদ্রোহীরা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, যেমনটি ’৫২ তে করেছে। নেতাকর্মীদের নিয়ে যে কোনো পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সহ ইউনিটের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছেন বলে তিনি জানান।”

জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদ বাবু বলেন, “ছাত্রলীগ গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রামে সুনামধন্য সংগঠন ’৫২ ভাষা আন্দোলনে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ছাত্রলীগ বাংলা ভাষার অধিকার ছিনিয়ে এনেছে, আজ অবধি ছাত্রলীগ প্রত্যেকটি দেশের অভন্তরে কোন দূর সময়ে পিছু হটে নি। ছাত্রলীগ বাংলার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।”

জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা সিফায়েতুন নিসা সোমা জানান, “৫২ এর ফেব্রুয়ারি মাস। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছিল উত্তাল রাজপথ। আন্দোলন চলছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস পাড়া, রাজপথ সবখানে সে আন্দোলনে টগবগে তরুণ সালামের হৃদয়েও ডাক ছুঁয়ে যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনরত ছাত্র জনতার মিছিলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগান কণ্ঠে তুলে রাজপথে নেমে আসে তৎকালীন ডাইরেক্টর অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর কর্মচারী ফেনীর ‘সোনালী সন্তান’ ভাষার শহীদ সালাম। বর্বর পাকিস্তানি পুলিশ নির্বিচারে মিছিলে গুলী চালায়। সালাম, রফিক, বরকত, জববারসহ অনেকে গুলীবিদ্ধ হন। মারা যান রফিক, বরকত, জববারসহ অনেকে। আজকের এই দিনে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা। যাদের আত্মদানে আজ মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলার স্বাধীনতা ফিরিয়ে পেয়েছি।”

এদিকে কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী রেশমি আজাদ বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বলা গৌরবের। দেশের মা, মাটিকে যারা ভালবাসে না, তারা দেশের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে সর্বদা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কক্সবাজার জেলায় নারীর সক্রিয় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে এ সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলা সম্ভব বলে তিনি জানান।”

 এছাড়াও জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ইসমাইল সাজ্জাদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সিকদার রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মজিদ, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জমির জামি, উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, কক্সবাজার সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ওয়াহিদ রুবেল সহ জেলা শাখা ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: