ঢাকা,শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

শহীদ দৌলত দিবস জাতীয়ভাবে পালনের দাবী

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া ::   শহীদ দৌলত খানের রক্ত কোনদিন বৃথা যায়নি। তার রক্তের বিনিময়ে বর্তমান দেশের চলমান এই গণতন্ত্র। ১৯৮৭ সালের এইদিনে স্বৈরচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তৎকালিন ছাত্রলীগ নেতা দৌলত খান। তিনি সারাদেশে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।

দৌলত খান তৎকালিন চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায়। আন্দোলনের সময় দৌলত খান চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালীতে থাকতেন। সেখানে থেকে স্বৈরচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন বেগমান করেছেন। ৫ ডিসেম্বর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার সহকর্মীরা এইদিনটি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ আসছেন।

প্রতিবছর ন্যায় এবারও ৫ ডিসেম্বর শহীদ দৌলত দিবস হিসেবে পালন করেছে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন গুলো। মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর শহীদ দৌলত দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচী পালন করেছেন। আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের পাশাপাশি তার সহকর্মীরাও দৌলত খানকে স্মরণ করেছেন। এদিন সকাল থেকে নানা কর্মসূচী দিয়ে শুরু করা হয় শহীদ দৌলত দিবস।
বিকাল চারটার দিকে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিমের নেতৃত্বে দৌলত খানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এরপরই মাতামুহুরী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুলের নেতৃত্বে কবরে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাফস রক্ষিত, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান, রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম, চকরিয়া উপজেলা পূজা কমিটির সভাপতি তপন কান্তি দাশ, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট ফয়জুল কবির, সাংবাদিক মিজবাউল হক, অধ্যাপক মনজুর আলম, টিপু সোলতান, জাফর আলম ছিদ্দিকী, আলাউদ্দিন আল আজাদ, জসিম উদ্দিন মানিক, ফজল কাদের, কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, দৌলত খানের ভাগিনা সোহেল, আজিজুর রহিম, বাহাদুর আলম, চকরিয়া পৌরসভা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল লোটাস, কলিম সিকদার, যুবলীগ নেতা মামুন। এরআগে মাতামুহুরী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকছুদুল হক ছুট্টোর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা দৌলত খানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পন করেছেন।

দৌলত খানের সহযোদ্ধা ও সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল করিম বলেন, দৌলত খান যে স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন, তার স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। তার দেখানো পথে বর্তমান দেশের গণতন্ত্র এগিয়ে যাচ্ছে। সেই গণতন্ত্রের নেতৃত্বে দিচ্ছেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার স্মৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করতে হবে বলে জানান তিনি।

সাবেক ছাত্রনেতা ও দৌলত খানের সহকর্মী মহসিন বাবুল বলেন, দৌলত খানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য প্রতিবছল এই দিবস পালন করে আসছি। তার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরচার এরশাদের পতন হয়েছে। কিন্তু এখনো তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দিবসটি জাতীয়ভাবে পালন করার দাবী জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা মহসিন বাবুল।

পাঠকের মতামত: