ঢাকা,বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

শহর জুড়ে অসহনীয় যানজট, ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন?

imagesimagesকক্সবাজার প্রতিনিধি :::

পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ সবকটি পয়েন্টে তীব্র মাত্রার অসহনীয় যানজট। আজ বেলা রবিবার শহরের মূল পয়েন্ট গুলোতে ছোট যানবাহনের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ার মত।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে শুরু হয় সর্বস্তরের মানুষের পদচারণা আর দৌড়ঝাঁপ। শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে, শ্রম এবং চাকুরীজীবীরা তার নিজ নিজ অফিস আদালতে এবং কর্মস্থলে। সবার উদ্দেশ্য একটাই নিজ গন্তব্য। শহর রুপ নেয় কর্মব্যাস্ততায়।পুরোদমে শুরু হয় অফিস,আদালত, ব্যাংক এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কজ।কেউ কেউ দু পায়ের উপর ভরসা করলেও অনেকেই তিন চাকার যানের উপর নির্ভর। কিন্তু কেউ পারে তার সঠিক গন্তব্যে পৌছাতে আবার কেউ মাঝ পথে দীর্ঘ সময়ের পর সময় গাড়িতে জেকে বসে ঘুমের ঘরে।তাতে অসুস্থ রোগী, শিক্ষার্থী,চাকুরীজীবীদের পড়তে হয় বিপাকে। ফলে ভোগান্তির চরম শীর্ষে পৌছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে সকাল ১০ টার দিকে শহরের সব কটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে থেমে থেমে গাড়ির দীর্ঘতম লাইন। যার মধ্যে-বার্মিজ মার্কেট, বাজার ঘাটা, আই বি পি রোড, ফাইয়ার সার্ভিস, ভোলা বাবুর পেট্রুল পাম্প, লাল দিগির পার, ৬ নং রাস্তার মাথা এই সব পয়েন্ট গুলোতে ছোট যানের মাঝারি দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ার মত।

তাতে ভিন্ন ভিন্ন মহলের ভিন্ন অভিযোগ হলেও স্থানীয় সচেতনমহলের অভিযোগের শেষ খোজে পাওয়া মশকিল। যানজটের কারণ জানতে চাইলে বলি উঠে প্রথমে ট্রাফিক পুলিশ। কিই বা কাজ তাদের কি ই বা ভূমিকা? জবাবের বেলাই শূন্য। সকালের দিকে দু একটি পয়েন্টে তাঁদের আনাগোনা দেখা গেলেও বেলা বাড়ার মাঝ সময়ে তাঁদের অনুপস্থিতিও অনেকাংশে চোখে পড়ার মত। ফলে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে দেখা দেয় ট্রাফিক পুলিশ শূন্যতা। এই সুযোগেই শহরের ছোট বড় সব যানই অবাধ্য তার গতি মানতে। অনেকটা অমান্য এবং বেপরোয়ায় তাদের যাত্রা।যাতে অনেকটা বাড়িয়ে তুলে যানজটের মাত্রা।অন্য দিকে পৌরশহরের রাস্তার পাশ জুড়ে বেশির ভাগ ভ্রাম্যমাণ দোকান এবং ভ্যান অনেকটা যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ।কেউ তার দোকানে সামনের ফুটপাত ভাড়া দেয় ভ্রাম্যমাণ দোকানীদের।আবার অনেক প্রাভাবশালীরা তাদের ক্ষমতার দাপটে অনেক ভ্রাম্যমাণিরা স্থান পায়।আবার অনেকেই কারো হস্তক্ষেপ ছাড়াই দখলে নেই ফুটপাত। স্থানীয় সূত্রের অভিযোগ, ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা রাস্তার ফুটপাত দখলে নিলে পথচারীদের হাঠার জায়গা খুজে পাওয়া মশকিল। তখন পথচারীদের চলার পথে বিগ্ন ঘটে।আর যানজটের সীমাহোনতা বাড়ে। অন্যদিকে ৫ হাজারেরও অধিক বেশি তিন চাকার টম টম (ইজি বাইক)’র দখলে পৌরশহর । তার মধ্যে অবৈধ লাইসেন্সবিহীণ টম টম (ইজি বাইক) বেশি হওয়াতে যানজটের অন্যতম একটি কারণ। জেলা ট্রাফিক পুলিশ আনুষ্টানিক অবিযানে গেলে বেশ কটি টম টম ট্রাফিকের থাবার মুখে বাধায় পড়ে জব্দ হয়। পড়ে স্থানীয় দাপটিয় কোন ক্ষমতার বলে ১০০০/১৫০০ টাকার লোভ লালসায় ছেড়ে দিতে বাধ্য ট্রাফিক পুলিশ। কেন আইনের অনুপযোগী ব্যবহার? কে ই বা এই দাপটিয় অপশক্তির অধিকারী?
সরেজমিনে যানজটের কারণ দেখতে গিয়ে দেখা মিলে বার্মিজ মার্কেট এলাকায় লাইসেন্সবিহীন অবৈধ টম টম চালক রিয়াদের। রিয়াদ ৫ মাস যাবৎ সদর উপজেলা সহ শহরে টম টম চালাচ্চে। কিন্তু তার টম টমের পৌরসভার কোন অনুমোদন বা লাইসেন্স নায়।রিয়াদ বলে, ট্রাফিক পুলিশ আমার গাড়িটি ৩ বারেরও অধিক ধরেছিল। তবে তাদের ৫০০/১০০০ টাকার দাবী পূরণ করলে পরে ছেড়ে দেয়।সে আরো বলে এক বার ২২০০ টাকার বিনিময়ে থানা থেকে ছাড়িয়েও আনি আমি গাড়িটি।
তবে রিয়াদের মত অনেক অবৈধ টম টমের ডারাইবার শহর জুড়ে দেখা মিলে।
ঝাওতলার সেলিম এবং চেইন্দার ফরিদ ও তার ব্যাতিক্রম নয়। তাদের গাড়িটিও ট্রাফিক পুলিশ ২/৩ বার ধরলেও ৫০০/১০০০ টাকা ছাড়াও বড় অংকের ২২০০ টাকার বিমিময়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনে। তবও লাইসেন্স কিংবা অনুমোদনের কোন দেখা নায়।

তবে শহরের যানজটের সার্বিক বিষয়, ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা এবং অবৈধ টম টমে মাঝারি এবং বড় অংকের টাকা আদায়ের পর ছেড়ে দেওয়া বিষয় জানতে চাওয়ার জন্য সারাদিন ট্রাফিক এ এস পি আবু সালাম চৌধুরী কার্যালয় তালা ঝুলানো দেখার পর সন্ধ্যায় ফোনে জানার চেষ্টা করলে তিনি ব্যাস্ততা দেখিয়ে ফোন লেইনন কেটে দেন।

পাঠকের মতামত: