মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর শ্রী শ্রী দশ মহাবিদ্যা কালি মন্দিরে প্রবেশ করে পুরোহিতকে মারধর করায় অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মন্দিরের পুরোহিত বাসু চন্দ্র নাথ বাদী হয়ে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩জনকে আসামী করে মামলা করেন। জি.আর মামলা নং ২৯২৫/২০১৭, তারিখঃ ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ইং।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পেশায় বাসু চন্দ্র নাথ একজন দর্জি। পাশাপাশি ৮বছর যাবৎ ফাঁসিয়াখালী গুলিস্থান বাজারের শ্রী শ্রী দশ মহাবিদ্যা কালি মন্দিরে পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করছেন। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বামহাতির ছড়া এলাকার আবু তাহের এর ছেলে সুমন প্রকাশ সুরমা(৩০) পুরোহিত বাসু চন্দ্র নাথের কাছ থেকে অনেকবার টাকা ধার নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। পূর্বে টাকা পরিশোধ না করে গত ২৩ শে জানুয়ারী ২০১৭ইং পুনরায় ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে ২৮ শে জানুয়ারী ১৭ইং বিকাল ৩টায় সুমন ১টি মোটর সাইকেলে করে অজ্ঞাতনামা আরো ২জনকে সাথে নিয়ে ২ লাখ টাকা চায়। টাকা না দিতে চাইলে পুরোহিতকে মারতে উদ্যত হয়। এসময় পাশের মৃদুল কর্মকার তাকে উদ্ধার করে। ঘটনার সময় দর্জি দোকানের ক্যাশ থেকে সারাদিনের বিক্রয়ের ১২ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং বাকি টাকা নিতে আসবে মর্মে হুমকি দেয়।
একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় চাঁদার দাবিতে পুরোহিত বাসু চন্দ্র নাথ কালি মন্দিরে ধর্ম পালন করা অবস্থায় তাকে লাথি মারে। সেসময় তার মাথায় পরিহিত ধর্মীয় পাগড়ি ও কাপড় চোপড় টানা হেঁচড়া করে এবং ধর্মের নাম ধরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। চিৎকারে মামলার স্বাক্ষীরা এগিয়ে আসলে তারা ৩জন পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় মামলা করলে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে যায়। পুরোহিত বাসু চন্দ্র নাথ বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিচার না মানায় আদালতে মামলা করি।
এবিষয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিউল আলম বলেন, আমরা কিছু জানিনা। আমাদেরকে কেউ কিছু জানায়নি। মামলার বাদী পক্ষের উকিল এ্যাভোকেট আবু জাফর জানান, বিজ্ঞ আদালত বিষয়টিকে আমলে নিয়ে মামলা রুজু করেন। আসামীদের নামে সমন ইস্যু করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: