ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রেজু খালের ভাঙ্গনে উখিয়ার জনপদ বিচ্ছিন্ন, হুমকিতে বসতবাড়ি ও ফসলী জমি

াাওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::

উখিয়ার রেজু খালের মোহনা অংশের রতœাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল গ্রামে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের স্রোতে তুতুরবিল বড়–য়া পাড়া সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন পড়েছে। ফলে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগামী ছাত্রছাত্রীসহ স্থানীয় জনসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দূভোর্গ। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় আশংকাজনক অবস্থায় প্রতিয়মান বসতবাড়ি ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা করে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবী করে একটি আবেদন করেছেন।

গতকাল শনিবার সকালে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পশ্চিমরতœা-তুতুরবিল অংশে রেজুর মোহনার বাঁকে পানির স্রোত সরাসরি আঘাত হানার কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে অত্র এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ভাঙ্গন তীব্রতর হয়ে একমাত্র সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন ও নুরুল ইসলামসহ একাধিক লোকজন জানান, রেজুখালের হিজলিয়াসহ ৫/৬টি স্পট থেকে নির্বিচারে বালি উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রেজুর মোহনার বাঁকে স্পার্ক নিমার্ণ করা না হলে খালের পাড়ে বসবাসরত প্রায় অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ও শত শত একর ফসলী জমি খালের গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি বলেন, ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গ্রামবাসী একটি আবেদন করেছে।

রতœাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী জানান, বড়–য়াপাড়া-তুতুরবিল সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কারণে তুতুরবিল, পিনজিরকুল, খয়রাতিপাড়া, হরিণমারা, আমিনপাড়া, হিজলিয়া, খালকাচাপাড়া সহ প্রায় ৭/৮টি গ্রামের মানুষকে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ভাঙ্গনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। রাস্তাটি পুণ:সংস্কার সহ রেজুর মোহনা অংশে স্পার্ক নির্মাণের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে খালের পাড়ে বসবাসরত পরিবারগুলো ভাঙ্গন থেকে নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারে।

 ###################

উখিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::

দেশের মানুষ সর্বত্র আতঙ্কে,মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী যেমন খুশি করছে, দিন দিন নির্যাতনের মাত্রাও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চাই,গণতন্ত্র চাই,বাকস্বাধীনতা চাই। গত ১৯ আগস্ট শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল উখিয়া উপজেলা কতৃক আয়োজিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উখিয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক যুবনেতা আব্দুল মালেক মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিরাজুল হক বি,এ উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। তিনি আরো বলেন উখিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল মালেক মানিক দীর্ঘ দিন ধরে কক্সবাজার জেলা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল ও উখিয়া উপজেলাতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। মানিক সর্বোচ্চ ত্যাগী এবং নির্যাতিত। সে শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে পুরুষ্কৃত ও হয়েছে অনেক বার।

সভাপতির বক্তব্যে উখিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল মালেক মানিক বলেন,আমি অসুস্থ,হতে পারে এই মিটিং আমার জীবনের শেষ মিটিং, কিন্তু তোমরা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা পিছু হঠবে না,মনে রাখবে এই সংগঠন ৭১ রনাঙ্গনের শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। তাই যেখানে ষড়যন্ত্র সেখানেই দাতাবাঙ্গা জবাব দিবে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তর শাখার সভাপতি জাফর আলম,জালিয়াপালং উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন চৌধুরী,রাজাপালং ইউনিয়ন সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাব উদ্দিন,সহ-সভাপতি মোঃ মুসা,সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরমান,যুগ্ন-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম হীরু। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ছৈয়দ আলম,ে হলাল, শাহজাহান, তমিজ, মিজান, রাসেল প্রমূখ। উক্ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাজাপালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তর শাখার সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা নুরী হীরা।

পাঠকের মতামত: