ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

রামুর ঈদগড়-ঈদগাঁও ও বাইশারী সড়কে পৃথক ডাকাতি, ভাইস চেয়ারম্যান, পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক যাত্রীর সর্বস্ব লুট

dakati.সোয়েব সাঈদ, রামু :::

ঈদগাঁও-ঈদগড় এবং ঈদগড়-বাইশারী সড়কে পৃথক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের মারধরে আহত হয়েছেন ৪ জন। এদের মধ্যে নাইক্ষংছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা চৌধুরী এবং এক পুলিশ সদস্য রয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৭ টায় ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের হিমছড়ি ঢালা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ঈদগড়-বাইশারী সড়কে এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতির শিকার কয়েকজন যাত্রী জানান, হিমছড়ি ঢালায় ১টি সিএনজি ও ২টি টমটমে ডাকাতদল হানাদিয়ে যাত্রীদের মারধর করে সর্বস্ব লুট করে নেয়। এসময আহত হন সিএনজি চালক জাকের হোসেন, যাত্রী আলা উদ্দিন, শামশুন্নাহার, মো. হানিফ।

ওই সময় সিএনজি গাড়িটিতে ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য মো: ওসমানও ছিল। ডাকাত দল মারধর করে তার সর্বস্ব কেড়ে নেয়।

একইদিন ঈদগড় বাইশারী সড়কে ডাকাতদল ব্যারিকেড দিয়ে উভয় দিক থেকে আসা ১ টি হিল লাইন মিনিবাস, ৪টি সিএনজি, ৩টি টমটম এবং ২টি মোটর সাইকেল থামিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়। এসময় ডাকাত দল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা চৌধুরীরকে লাঞ্চিত করে সর্বস্ব লুট করে। তবে এবিষয়ে হামিদা চৌধুরীর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

হিল লাইন চালক জাকের জানিয়েছেন, ডাকাত দলের সদস্য ছিল প্রায় ২০ জন। অনেকের হাতে লম্বা বন্দুক, দা, ছুরি সহ বিভিন্ন দৈশীয় অস্ত্র সরঞ্জাম ছিলো। ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মোহাম্মদ হাশেম জানান, তিনি ছুটিতে চট্টগ্রাম রয়েছেন।

জানা গেছে, পুলিশের নজরদারী থাকায় দীর্ঘদিন এ সড়কে ডাকাতি বন্ধ ছিল। এখন ফের ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আবারো আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আতংকিত এলাকবাসী এসব সড়কে পুলিশের নজরদারী আরো বৃদ্ধি এবং ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

 

 

পাঠকের মতামত: