নিজস্ব প্রতিবেদক::
রামুতে নারীদের আর্থিক স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করার লক্ষ্যে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় ৮০ জন নারী প্রশিক্ষনার্থীকে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে রামু উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উইমেন আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার ব্যাচের নারী শিক্ষার্থীদের এসব ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
রামু উপজেলা প্রশাসন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- রামু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল। কক্সবাজার জেলা আইসিটি অফিসার (অ:দা:) সৌরভ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- রামু উপজেলা আইসিটি অফিসার নাহিদ মাসুমা আকতার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন- পুরোদেশের ১৪০ উপজেলার নারীরা এ প্রশিক্ষণ ও ল্যাপটপ পাচ্ছে। এ জন্য রামুর মেয়েরা সৌভাগ্যের অধিকারী। এ প্রশিক্ষণ ও ল্যাপটপ সরকারি বিনামূল্যে দিচ্ছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো নিজেকে তথ্য প্রুযুক্তি খাতে স্বাভলম্বী করার পাশাপাশি অন্যদেরও এগিয়ে নেয়া। তাই এ প্রশিক্ষন যারা নিয়েছেন তাদের অন্যদেরও প্রশিক্ষিত করার দায়বদ্ধতা তৈরী হলো। এ জন্য আশপাশের পিছিয়ে পড়া নারীদের প্রশিক্ষিত করে এগিয়ে নিতে হবে। নিজের জন্য আয়ের উৎস সৃষ্টির পাশাপাশি অন্যান্য নারীদেরও আয়ের পথ দেখিয়ে দিতে হবে। তবেই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য স্বার্থক হবে।
তিনি আরও বলেন- ফ্রিল্য
রামুতে নারীদের আর্থিক স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করার লক্ষ্যে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় ৮০ জন নারী প্রশিক্ষনার্থীকে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে রামু উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উইমেন আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার ব্যাচের নারী শিক্ষার্থীদের এসব ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
রামু উপজেলা প্রশাসন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- রামু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল। কক্সবাজার জেলা আইসিটি অফিসার (অ:দা:) সৌরভ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- রামু উপজেলা আইসিটি অফিসার নাহিদ মাসুমা আকতার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন- পুরোদেশের ১৪০ উপজেলার নারীরা এ প্রশিক্ষণ ও ল্যাপটপ পাচ্ছে। এ জন্য রামুর মেয়েরা সৌভাগ্যের অধিকারী। এ প্রশিক্ষণ ও ল্যাপটপ সরকারি বিনামূল্যে দিচ্ছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো নিজেকে তথ্য প্রুযুক্তি খাতে স্বাভলম্বী করার পাশাপাশি অন্যদেরও এগিয়ে নেয়া। তাই এ প্রশিক্ষন যারা নিয়েছেন তাদের অন্যদেরও প্রশিক্ষিত করার দায়বদ্ধতা তৈরী হলো। এ জন্য আশপাশের পিছিয়ে পড়া নারীদের প্রশিক্ষিত করে এগিয়ে নিতে হবে। নিজের জন্য আয়ের উৎস সৃষ্টির পাশাপাশি অন্যান্য নারীদেরও আয়ের পথ দেখিয়ে হবে। তবেই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য স্বার্থক হবে।
তিনি আরও বলেন- ফ্রিল্যান্সিং নারীদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ। এটি তাদেরকে ঘরে বসেই কাজ করে আয় করার সুযোগ করে দেয়। এজন্য কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায়ও পারদর্শী হতে হবে। তাহলে সারা বিশ্বের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আইসিটি অফিসার সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ল্যাপটপ হলো ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এই ল্যাপটপগুলো নারীদেরকে তাদের কাজ আরও সহজে করতে সাহায্য করবে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিখাতে অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও ল্যাপটপ দিচ্ছে।
উপজেলা আইসিটি অফিসার নাহিদ মাসুমা আকতার তাঁর স্বাগত বক্তব্যে হার পাওয়ার প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন এ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত দক্ষতা কাজে লাগাতে হবে। এই বিষয়ের আপডেট সম্পর্কে নিয়মিত অবগত থাকতে হবে। নিয়মিত চর্চা করতে হবে। মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য চেষ্টা করতে হবে। শুরুতে আয় কম হলেও হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ নিয়ে ঐ কাজ করে অভিজ্ঞতা বাড়াতে হবে। ল্যাপটপটি প্রশিক্ষনার্থীদের ফ্রিল্যান্সার হওয়ার আগ্রহ তরান্বিত করবে এবং নারী উদোক্তা সৃষ্টিতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষনার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য হার পাওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: