কক্সবাজার শহরের ডাষ্টবিন থেকে সঠিক সময়ে আবর্জনা সরিয়ে না ফেলায় দিনের শেষ সময় পর্যন্ত ছড়াচ্ছে দূর্গন্ধ। এতে রোজাদার ব্যক্তিসহ অসহ্য হয়ে উঠেছে লোকজন। তারা বলছেন, দূর্গন্ধ এমনিতে বিরক্তিকর। তার মধ্যে রোজার সময় এটি খুবই অসহ্য। এই অব্যবস্থাপনার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন স্থানীয় জনগন। তাদের প্রত্যাশা সঠিক সময়ে আবর্জনা সরিয়ে ফেলে পরিবেশ স্বাভাবিক রাখা।
এদিকে পৌরকর্তৃপক্ষ বলছে, লোকজনের অসচেতনতার কারনেই এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তারা সঠিক সময়ে আবর্জনা না ফেলে দুপুরের পরে আবর্জনা ফেলে। যার ফলে এই ভোগান্তি।
শহর ঘুরে দেখা যায়, বাহারছড়া, বড়বাজার, পেশকার পাড়া, টেকপাড়া, মোহাজ্জেরপাড়াসহ বেশ কিছুৃ এলাকার ডাষ্টবিনে জমা আবর্জনা দুপুরের পরেও সরানো হয়নি। এই আবর্জনার দূর্গন্ধে অসহ্য হয়ে উঠেছে জনজীবন। মাগরিবের পরও পৌরসভার ট্রাকগুলো আবর্জনা সরাতে দেখা যায়।
শহরের বাহারছড়া’র আয়াছ মিয়া জানান, ডাষ্টবিনের দূর্গন্ধে রাস্তায়’ত আসাই যাচ্ছেনা, ঘরেও থাকা যাচ্ছেনা। এটি কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। যদি আবর্জনাগুলো সঠিক সময়ে সকালে সরিয়ে ফেলা হত তাহলে এই অবস্থা হতনা।
বাজারঘাটা এলাকার রোজাদার ব্যক্তি সাইফুল আলম নামে এই ব্যক্তি জানান, এই রোজা’র দিনে এই অসহ্য দূর্গন্ধে বমি আসার উপক্রম হচ্ছে। যথা সময়ে আবর্জনা সরালে এই সমস্যায় পড়তে হতনা।
এ ব্যাপারে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান জানান, শহরবাসিকে মৌখিকভাবে ছাড়াও মাইকিং করেও একাধিকবার বলা হয়েছে ১২ টার মধ্যে ডাষ্টবিনে আবর্জনা ফেলতে। যাতে করে দুপুরের আগে শহরকে আবর্জনামুক্ত রাখা যায়। কিন্ত এর পরেও লোকজন দুপুরের পরে ডাষ্টবিনে আবর্জনা ফেলে। যদিও পৌরসভার গাড়ি বরাবরেই সঠিক সময়ে আবর্জনা সরিয়ে ফেলে। এ ক্ষেত্রে লোকজনকে সচেতন হতে হবে। সঠিক সময়ে আবর্জনা ফেলে সহযোগিতা করতে হবে পৌরসভাকে। যাতে করে নিজের শহর পরিষ্কার থাকে।
পাঠকের মতামত: