
নয়াদিল্লি: ভালবাসা, প্রেম, ভালোবাসার মানুষ। সব সময়ই বরণীয়, স্মরণীয়, প্রেরণার, শক্তি ও সাহসের উৎসও বটে।
তবে ঠিক কতখানি ব্যাপ্ত হতে পারে ভালোবাসা? কতখানি শক্তি জোগাতে পারে ভালবাসা, বিশেষত ভালবাসার মানুষটি যখন চিরতরে ছেড়ে গিয়েছেন হাত? যারা ভালবাসতে জানেন, প্রেম তাদের কাছে এক অনির্বাণ জীবনীশক্তি। তা যেন নতুন করে প্রমাণ করেছে দীপিকা-রন দম্পতি।
২০০২ সালে সূচনা দু’জনের প্রণয়জীবনের। সেই সময় এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে যখন ট্রেনিং নিচ্ছেন দীপিকা। তখন সেই অ্যাকাডেমিতে সিনিয়র মোস্ট ট্রেনি হিসেবে ছিলেন রোনাল্ড কেভিন সেরাও, সংক্ষেপে রন। সেখানেই আলাপ দু’জনের। আলাপ অচিরেই গড়ায় প্রেমে। অ্যাকাডেমির সাইকেল স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ প্রেমালাপ চলত তাদের। কথা হতো ভবিষ্যৎ জীবন, পেশা কিংবা নিজের আত্মীয়-পরিজনদের নিয়ে। হাতে হাত রেখে এক মধুময় ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন দুজন।
ট্রেনিং শেষ হওয়ার পরে কোনওদিনই একই বেস ক্যাম্পে দু’জনের পোস্টিং হয়নি। কিন্তু তাতে ভাঁটা পড়েনি তাদের প্রেমে। ২০০৬ সালে বিয়ে হয় তাদের। তার পরেও কখনও এক জায়গায় পোস্টিং পাননি তারা। স্বামীকে একবার চোখের দেখা দেখতে কখনও সপ্তাহান্তে তেজপুর, কখনও হালওয়ারা কখনও বা আম্বালায় ছুটে যেতেন দীপিকা। আর দীপিকার টানে বেঙ্গালুরু বা আগ্রায় চলে আসতেন রন।
১৭ জানুয়ারি ছিল রনের জন্মদিন। ২০০৭ সালের ওই দিনে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলেন দীপিকা আর রন।
রন বলেন, এত সুন্দর জন্মদিন তার জীবনে আগে কখনও আসেনি। খুব খুশি ছিলেন দীপিকাও। কিন্তু তখনও তার কোনও ধারণাই ছিল না যে, রনের সঙ্গে এই তার শেষ কথা বলা। ১৮ জানুয়ারি ২০০৭ সালে দীপিকা জানতে পারেন, যে জাগুয়ার কমব্যাট যুদ্ধবিমানটি নিয়ে আকাশে উড়েছিলেন রন। সেটি জয়সলমিরের উপরে মাঝ আকাশেই বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সেই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন রন।
প্রাথমিকভাবে স্বামীর মৃত্যু বিহ্বল করে দিয়েছিল দীপিকাকে। যুদ্ধবিমানের ককপিটে আর জীবনে কখনও পা রাখতে পারেননি দীপিকা। কিন্তু একটা সময় তিনি বুঝতে পারেন, রনের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়িত করতে হলে তাকে আরও ধৈর্যশীল হতে হবে। তিনি নিজেকে সামলে নেন। এয়ারফোর্সের চাকরি ছেড়ে তিনি ফিরে যান পড়াশোনায়। এমবিএ কোর্স কমপ্লিট করেন। এবং শেষ পর্যন্ত কর্পোরেট সেক্টরে একটি চাকরি নেন।
বর্তমানে দিল্লিতে একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকেন দীপিকা। সঙ্গী বলতে একটি কুকুর, আর সর্বক্ষণের একজন পরিচারিকা। আর হ্যাঁ, অদৃশ্য সঙ্গী হিসেবে রয়েছে রনের স্মৃতি। কাজের ব্যস্ততার মধ্যে বেশ কেটে যায় তার দিনগুলো। রনের শূন্যতা অনুভব করেন ঠিকই, কিন্তু যখনই তার মনে পড়ে যে, রন নিজের স্ত্রীকে একজন স্থিতধী মানুষ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন, তখনই মনের জোর বেড়ে যায় দীপিকার। তিনি মনে মনে জানেন, অদৃশ্য সঙ্গী হিসেবে এখনও তার পাশেই রয়েছেন রন, রয়েছেন অনুপ্রেরণা হয়ে, জীবনীশক্তি হয়ে। সে প্রেরণা, স্মৃতি, প্রেম লালন করে একাকিত্ব জীবন পার করছেন বিধুবা দীপিকা!
- লামায় ২৭ রাবার শ্রমিককে অপহরণ
- চকরিয়ায় ব্যাক্তিগত সার-কীটনাশক গুদামে টিসিবির পণ্য
- চকরিয়ার বদরখালীতে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন
- ঈদগাঁওয়ে অশ্লীল-বেহায়াপনা উৎসব বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন
- চকরিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বৃদ্ধ পথচারী নিহত
- রামুতে প্রাইভেটকার-টমটম মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
- আজ পবিত্র শবে বরাত
- চকরিয়ার বরইতলীর শতাধিক গোলাপ বাগানে ফুল বিক্রির উৎসব
- চকরিয়ায়-পেকুয়ার দুই উপজেলা চেয়ারম্যানকে দুই দিনের রিমান্ডে
- চকরিয়ায় ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত
- চকরিয়া থানার দুর্নীতিবাজ ওসি মনজুরকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
- চকরিয়ার বদরখালীতে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন
- ঈদগাঁওয়ে অশ্লীল-বেহায়াপনা উৎসব বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন
- চকরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, সরকারি আদেশও মানে না
- জামায়াত এখনো অফিশিয়ালি প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এটা প্রাথমিক সিলেকশন -আমির
- কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের ১৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
- আজ পবিত্র শবে বরাত
- চকরিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বৃদ্ধ পথচারী নিহত
- চকরিয়ায় হালনাগাদ ভোটার ২৬ হাজার জনের তথ্য সংগ্রহ
- চকরিয়ায় অবশিষ্ট ৪ ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগ
- চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে হাতির মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়ার চিরিঙ্গা ও কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ
পাঠকের মতামত: